পদ্মাসেতুর প্রথম ল্যাম্পপোস্টের আলোয় পড়ালেখা করতে ফিরে আসতে চান বিদ্যাসাগর

২৭৯ পঠিত ... ২১:১৮, নভেম্বর ২৭, ২০২১

padma-shetu-bidyashagor

সম্প্রতি জীবন বদলে দেওয়া এক শিরোনাম নিয়ে হাজির হয় দৈনিক ইনকিলাব, গোটা গোটা অক্ষরে লেখা দেখা যায়, ‘পদ্মা সেতুতে বসানো হলো দেশের প্রথম ল্যাম্পপোস্ট।‘ এই শিরোনামে  উদ্বেলিত হন বাংলাদেশের শিশু থেকে শুরু বৃদ্ধ পর্যন্ত সকল বয়স ও পেশার মানুষ। যুগান্তকারী এই খবরের প্রতিক্রিয়ায় হারুন(৩২) নামের এক তরুণ জানান, ‘এটি আমার জীবনে শোনা সেরা সংবাদগুলোর ভেতর অন্যতম। প্রথম ল্যাম্পপোস্টের খবর জানতে পেলাম, শেষ পর্যন্ত সবগুলোর আপডেট জানতে চাই। আমি ভাগ্যবান পদ্মাসেতু আর মেট্রোরেলের দেশে জন্মেছি।‘    

তবে এ ব্যাপারে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর eআরকি'র এক গোপন সাক্ষাৎকারে বলেন , ‘আমার সময় এসব ল্যাম্পপোস্ট ছিলো না। অনেক কষ্ট করে পড়ালেখা করতে হয়েছে, অন্তত পদ্মাসেতুর ল্যাম্পপোস্টটা থাকলে পড়াশোনাটা নিশ্চয়ই আরো ভালো হইতো । মাঝেমাঝে এসব ভেবে খুব ডিপ্রেসড লাগে , বসে বসে দীর্ঘশ্বাস ফেলি । ল্যাম্পপোস্টে পড়ালেখা করার জন্য হইলেও আরও কয়দিন বেশি বাঁচার দরকার ছিলো।‘

এদিকে  জানা গেছে অত্র এলাকার শিক্ষার্থীরা ঘরের লাইট ভেঙে এবং ইলেকট্রিসিটির লাইন নষ্ট করে দল বেঁধে ভীড় করছে স্বপ্নের পদ্মাসেতুতে পড়ালেখা করতে।  এ ব্যাপারে রাতুল নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘এই লাইটের নিচে পড়ালেখার অন্যরকম জোশ আসে। যেই পড়া বাসায় পড়তে ২ ঘণ্টা লাগতো, এখানে  ২০ মিনিটেই হয়ে যায়। নিশ্চয়ই এর মধ্যে স্পেশাল কিছু আছে...’

 শুধু রাতুলই নয়, সন্ধ্যা হলেই রাতুলের মতো অসংখ্য শিক্ষার্থী বই খাতা নিয়ে এখানে ভীড় জমায়। কেউ কেউ জানিয়েছেন, তারা বিছানাপত্র নিয়েও এখানে শিফট করতে ইচ্ছুক। অতি আবেগে কাঁদতে কাঁদতে মানসুরা (১৭) নামের এক শিক্ষার্থী জানান, ‘পদ্মা সেতুকে একবার যখন পেয়েছি, আর হারাতে দেব না। আমিও বিদ্যাসাগরের মতো ল্যাম্পপোস্টের আলোয় পড়ালেখা করে দেশ ও দশের উন্নতি করতে চাই।‘

২৭৯ পঠিত ... ২১:১৮, নভেম্বর ২৭, ২০২১

Top