গুলিস্তান হল মার্কেটের সামনে সিটি কর্পোরেশনের ময়লার গাড়ি চাপায় মারা যায় নটরডেম কলেজের শিক্ষার্থী নাইম। সহপাঠীর এমন মর্মান্তিক মৃত্যুর প্রতিবাদে ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে সকাল থেকেই রাস্তায় নেমে আসে শিক্ষার্থীরা৷ এমন ঘটনা ঘটেছে ২০১৮ সালেও। রাজিব ও দিয়া নামের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর প্রতিবাদেও সেবার ফুঁসে উঠেছিলো ছাত্রসমাজ। ২০১৮ সালে শাহজাহান খানের এক হাসিতে শিক্ষার্থীদের সেই প্রতিবাদকে রূপ দিয়েছিলো ইতিহাসের অন্যতম বৃহৎ ছাত্র আন্দোলনে।
২০১৮ সালের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার আরো সাবধানী হয়েছে সরকার। সম্পূর্ণ ভূয়া এক তথ্য সূত্র থেকে জানা গেছে, ছাত্রদের প্রতিবাদ চলা পর্যন্ত শাহজাহান খান সহ দলের কোন নেতাকর্মীদের হাসির উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সরকার।
সরকারের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা নিজের একটি ফেক টিকটক অ্যাকাউন্ট থেকে বলেন, 'আপাতত হাসি পকেটে রাখেন৷ কাঁদো কাঁদো ভাব রাখার চেষ্টা করেন। জানি, এমন সুখের দিনে কাঁদো কাঁদো থাকা যদিও চ্যালেঞ্জিং, বাট কিছু করার নেই৷ কান্না না আসলে পকেটে কাঁদানি গ্যাস, গ্লিসারিন, কমলার খোসা বা পেঁয়াজ রাখতে পারেন৷ কাঁচামরিচ চিবিয়ে খেলেও কান্না আসে।'
এই সময় তিনি পকেট থেকে একটি কাটা পেয়াজ বের করে হালকা কেঁদে নেন৷
হাসির পাশাপাশি সরকারের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীদের চলাফেরা সীমিত করারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে৷ ভূয়া সূত্রটি মারফত এমনটি নিশ্চিত হয়েছে eআরকি৷ ভূয়া একটি টিকটক অ্যাকাউন্ট থেকে এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, 'দুএকদিন চলাফেরা সীমিত করুন৷ বের হওয়ার আগে কোথায় কোথায় ছাত্ররা অবস্থান করছে তা জেনে নিন। বের হলেও ভিআইপি এলাকার বাইরে যাবেন না৷ বিশেষ প্রয়োজনে গেলেও সাথে করে গাড়ির লাইসেন্স, ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে যাবে৷ নইলে ছাত্ররা গাড়ির পেছনে মন্ত্রীর লাইসেন্স নাই লিখে দিতে পারে। সাবধানের মাইর নাই।'