এবার বয়ফ্রেন্ডের অনুমতি না নিয়ে নিঃশ্বাস নেওয়ার জন্য ব্রেকাপ হলো মিরপুর ১০ এর মালিহা নামের এক কলেজ শিক্ষার্থীর। এ ঘটনা দেশের অসংখ্য প্রেমিক প্রেমিকার ভেতর আলোড়ন ফেলেছে বলে শোনা গেছে। সামাজিক মাধ্যমেও এ নিয়ে চলছে আলোচনা সমালোচনা।
eআরকি'র সাথে এক গোপন ও কাল্পনিক সাক্ষাৎকারে মালিহা জানান, ‘আমাদের প্রেম ৩ দিন বয়স থেকে। আমাদের মায়েদের ডেলিভারি একই হাসপাতালে হয়, এবং পরবর্তী সময়ও তারা পাশাপাশি বিছানায় ছিলেন। তখন থেকেই আমাদের ভেতর চোখাচোখি হতো। প্রেমটা পাকাপোক্ত হয়, আই মিন আমরা কমিটমেন্টে আসি ক্লাস ওয়ানে থাকতে। তখন থেকে ওর কথায় ওঠাবসা করি আমি। আমার লাইফের সব সিদ্ধান্ত যেন ওরই সিদ্ধান্ত। হঠাৎ করে এভাবে ছেড়ে চলে যাবে ভাবতেও পারিনি...'
এতটুকু বলেই কান্নায় হু হু করে মুষড়ে পড়েন মালিহা৷
‘কেন ব্রেকাপ হলো’ জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, 'আমি সাধারণ সবকিছু ওর থেকে অনুমতি নিয়েই করি। জানেনই তো, আমি মেয়ে মানুষ, নিজের বিচার বুদ্ধি কম। ও নিশ্চয়ই আমার চেয়ে ভালো বুঝে। এমনকি টয়লেটে যাওয়ার আগেও আমি ওর কাছ থেকে জিজ্ঞেস করে যেতাম এখন টয়লেটে যাওয়া উচিৎ হবে কি না। বললে হয়তো বিশ্বাস করবেন না, নিঃশ্বাস নেওয়ার আগেও আমি ওর কাছ থেকে জেনে নিতাম এখন নিঃশ্বাস নিবো কি না, এ জায়গার বায়ু আমার জন্য স্বাস্থ্যকর হবে কি না ইত্যাদি। তবে বেশ কয়েকদিন যাবৎ আমাদের মধ্যে মতের কিছু অমিল হচ্ছিলো। কয়েকদিন আগে ওর অনুমতি ছাড়াই বেশ কয়েকবার নিঃশ্বাস নিয়ে ফেলি। এতে করে সে রাগ করে ব্রেকাপ করে চলে যায়...'
ব্রেকাপের পর মালিহার প্রেমিক নাহিদ তাকে বেশ কিছু চিঠিও পাঠিয়েছেন। একটিতে লেখা,‘যে মেয়ে আমার অনুমতি ছাড়া এক চুলও নড়বে, তাকে আমার জীবনে দরকার নেই। এছাড়া, আমাদের ধর্মানুযায়ীও তোমার উচিৎ ছিলো আমার কথা মেনে চলা। যেহেতু চলোনি, এখন খেসারত তো দিতেই হবে.. ’
এমন কথায় শারীরিক ও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন দ্বাদশ শ্রেণীর মালিহা তাবাসসুম। তিনি বলেন, “'ওগো আমি ক্ষমা চাইছি। আর কখনো তোমার কথা ছাড়া নিঃশ্বাস নেবো না। প্লিজ তুমি ফিরে এসো....'
eআরকির প্রতিনিধিকে মালিহা বলেন, 'ওকে ছাড়া নিশ্বাস নিয়েও আমি বাঁচতে পারছি না। এ যে ধরে দেখেন, দেখতে জীবিত মনে হলেও আমি আসলে মরা। কারণ ওর অনুমতি ছাড়া নিশ্বাস নিলে সেই নিশ্বাসের লগে আমি অক্সিজেন পাই না।'
