দ্বৈত কণ্ঠে গাইতে যাচ্ছেন দুই বাংলার ভাইরাল দুই মুখ হিরো আলম এবং রানু মন্ডল। হিরো আলম প্রযোজিত ও অভিনীত দুই সিনেমায় দুটি গানে কণ্ঠ দেবেন ভারতের আলোচিত এই গায়িকা, জানিয়েছেন হিরো আলম। সিনেমাগুলোর নাম, ‘বউ জামাইয়ের লড়াই’ এবং ‘নষ্ট হওয়ার কষ্ট’।   

ভক্তরা তাদের দুইজনের মিলিত আসন্ন এই প্রকল্পতে দারুণ উচ্ছ্বসিত। ক্যামব্রিয়ান কলেজের অভি (২৩) নামের এক শিক্ষার্থী জানান, 'এত বছর অপেক্ষার পর এই মুহূর্তটি এলো। আমি হিরো আলম স্যার এবং রানু মন্ডল ম্যামের একনিষ্ঠ ভক্ত। শুধু তাই নয়, আমি তাদের ফ্যানক্লাব গ্রুপেরও অ্যাডমিন। সেখানে সদস্যসংখ্যা প্রায় এক মিলিয়ন। এমন সুন্দর খবর শোনার পর আমরা সবাই মিলে অনুষ্ঠান ও খানাপিনার আয়োজন করেছি।'

এদিকে নাবিলা খানম (১৭) নামে এক কলেজ শিক্ষার্থী জানান, 'হিরো আলম—রানু মন্ডল একত্রে গান গাচ্ছেন, চমৎকার ব্যাপার। তবে মাথায় রাখবেন, মাহফুজুর রহমান স্যার যদি সেই গান কম্পোজ না করে, গান তার মাধুর্য হারাবে। আমরা যারা মাহফুজুর স্যারের ভক্ত, তারা কেন এমন আয়োজন থেকে বঞ্চিত হবো?'

সবকিছু ঠিকঠাক হলেও এরপর গুরুতর দাবি নিয়ে হাজির হন সেফাতুল্লাহ ওরফে সেফুদার ভক্তকূল। প্রথম আলোর পোস্টে সেফুদা রেগে যেয়ে কমেন্ট করেন, 'হিরো আলমকে ত্যাজ্য পুত্র করলাম।'

এমন কমেন্ট দেখে মুষড়ে পড়েন হিরো আলম। তিনি কাঁদতে কাঁদতে eআরকি'কে বলেন, 'আমার গানের ডান্স ডিরেক্টর হওয়ার জন্য সেফুদাদাকে ফোন দিছিলাম আগে। উনি ফোন ধরেন নাই। আমার কী দোষ...কিন্তু দোহাই লাগে, ত্যাজ্য করবেন না...'

অনন্য জাহেদ (২৬) নামে সেফাতুল্লাহ সেফুদার এক ডাই হার্ট ফ্যান জানান, 'সেফুদা আমাদের দেশের এবং এই উপমহাদেশের গৌরব। মদ খাওয়াকে তিনি শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। তিনি একাধারে সংগীতশিল্পী, নৃত্যশিল্পী, দার্শনিক, চিত্রকর, কন্টেন্ট ক্রিয়েটর ইত্যাদি। তাঁর মতো আর দুটো উদাহরণ দিতে পারবেন? হিরো আলম সিঙ্গার হিসেবে মিডিওকার, তবে খারাপ নয়। তার গান তখনই এক্সট্রা অর্ডিনারী হতে পারে যদি সেখানে সেফুদার ডান্স ডিরেকশন থাকে। নাচবিহীন গান এবং লবণবিহীন তরকারী একই কথা। সেফুদা সেখানে এক্সট্রা স্পাইস এনে দেবে...'

এদিকে মাহফুজুর রহমানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি আপাতত পারিবারিক শোক কাটাতে ব্যস্ত হলেও হিরো আলম-রানু মন্ডলের যৌথ গানের কম্পোজ করার প্রস্তাবটি লুফে নেবেন...