চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেক) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মারামারির ঘটনায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। শনিবার সন্ধ্যার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বেশ কয়েকজন ছাত্র আহত হলেও ফেসবুকে ঘুরে বেড়াচ্ছে ৬২তম ব্যাচের ছাত্র মাহাদী আকিবের আইসিইউ-এর একটি ছবি।
এ ঘটনায় এক (কাল্পনিক) সাক্ষাৎকারে হামলাকারীরা চট্টগ্রাম eআরকি প্রতিনিধিকে বলেন, ‘দেখেন ভাই আমরাও আসলে বেশ ক্রাইসিসে আছি। করোনা চলে যাওয়ার পর থেকে হাসপাতাল খালি হয়ে গেছে। রোগী ছাড়া হাসপাতাল ভালো লাগে? বলেন তো? এজন্যই আকিবকে পাঠাইলাম, কয়েকদিন থাকুক। অনেক তো পড়ালেখা করছে, এখন একটু আরাম করুক। প্রত্যেক মানুষের জীবনেই বিশ্রামের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম!’
বদরুল নামের সংশ্লিষ্ট আরেক ছাত্র বলেন, ‘একটা গোপন তথ্য দিবো। কাউকে বলবেন না, ওকে? আমাদের মেডিকেল থেকে প্রতিবছর ‘ইন্টারন্যাশনাল কোপাকুপি প্রতিযোগিতা’য় অংশগ্রহণ করে৷ এইটা আমাদের অনেকদিনের ঐতিহ্য। প্রতিপক্ষ হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়াই থাকে বেশিরভাগ সময়। শক্তিশালী প্রতিপক্ষকে লড়াই করবার জন্য আমাদেরকে শক্তিশালী হতে হয়। এজন্য মাঝেমাঝে আমরা প্র্যাক্টিস করি। তবে ভাই, ওইদিনেরটা কিন্তু প্র্যাক্টিস ছিলো না। জাস্ট ওয়ার্ম আপ করলাম, প্র্যাক্টিসের দিন আগেই ডাক দিবো আপনাদেরকে।‘
সংশ্লিষ্ট কারো কথার সাথে কারো মিল না পেয়ে ফার্স্ট বয়ের সাথে কথা বলতে গেলে এক নতুন সাড়া জাগানো তথ্য পাওয়া যায়। ফার্স্ট বয় মোস্তাফিজ বই থেকে মুখ তুলে বলেন, ‘আপনাদের এসব খবর কে দেয়? আমরা সরকারি মেডিকেলে পড়ি, দেশের প্রথম সারির মেধাবী ছাত্র। পড়াশোনা ছাড়া আমাদের অন্য কোনো উদ্দেশ্য নেই। এই যে এখানে যা ঘটেছে, এগুলোও আমাদের পড়ালেখার অংশ। মাথার কোথায় বাড়ি দিলে সাবএরাকনয়েড হেমোরেজ, এপিডুরাল হেমোরেজ বা কনকাশন হয় — বা কী ধরনের ফ্র্যাকচার হয় এগুলো প্র্যাক্টিক্যালি দেখাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য। আর আকিব নিজেই নিজের মাথা দান করেছে। মাথা দান করাও আমাদের পুরোনো ট্র্যাডিশন। এতে ইতিহাসের পাতায় সোনালি অক্ষরে নাম উঠে..আমাদের সবাইকেই অবশ্য টার্নওয়াইজ মাথা দান করতে হয়। আমার টার্ন দুই মাস পরে। এজন্যই পড়াশোনা এগিয়ে রাখছি। এখন যান, অনেক পড়া বাকি...’