আন্তর্জাতিক প্রেস রিলিজের জগতে নতুন এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। দূর্গাপূজায় হওয়া সহিংসার আন্তর্জাতিক প্রেস রিলিজে তিনি বলেন, 'সাম্প্রতিক সহিংসায় কোন মন্দির ভাংচুর ও মন্দিরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেনি৷ মাত্র ২০ টি বাড়ি আগুনে পুড়েছে, ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারের পক্ষ থেকে নতুন বাড়ি নির্মান ও ক্ষতিপূরণও দেয়া হয়েছে৷ সহিংসতায় মাত্র ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, তারমধ্যে একজনের আবার স্বাভাবিক মৃত্যু৷ একজন পুকুরে পড়ে ডুবে মারা গেছে৷'
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন শান্তিপূর্ণ প্রেস রিলিজ নজর কেড়েছে ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজির (এমআইটি)। এমন প্রেস রিলিজ দেখে চোখ কপালে তুলে সমস্বরে ওয়াও বলে উঠেন প্রতিষ্ঠানটির কর্তাব্যক্তিরা। সাথে সাথেই তারা 'আন্তর্জাতিক প্রেস রিলিজ' নামে নতুন একটি বিভাগ খুলে আবদুল মোমেনকে নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন৷
প্রতিষ্ঠানটির এক কর্তাব্যক্তি নিজের ফেক আইডি থেকে বলেন, 'আন্তর্জাতিক প্রেস রিলিজ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়৷ এখানে নিজেকে সর্বোচ্চ ডিফেন্স করতে হয়৷ আবদুল মোমেনের প্রেস রিলিজটিতে যা শতভাগ প্রতিফলিত হয়েছে। এমন শান্তিপূর্ণ প্রেস রিলিজ ইহজীবনে আমরা দেখিনি। বাংলাদেশের সহিংসতার ঘটনার বিপরীতে স্যারের এই প্রেস রিলিজ যেন মিষ্টি কণ্ঠে আবৃতি করছে, 'আমি জাহান্নামের আগুনে বসিয়া হাসিবো পুষ্পের হাসি।' সত্যিই অসাধারণ, অমায়িক৷'
আবদুল মোমেনের এই শিক্ষা ও মুন্সিয়ানাকে সারাবিশ্বের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চান এমআইটি। সেই লক্ষেই স্যারকে প্রধান করে এমন বিভাগের সূচনা৷ প্রতিষ্ঠানটির অন্য এক কর্মকর্তা বলেন, 'কোন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মাঝেই এমন আবদুল মোমেনের মত এমন মুন্সিয়ানা নেই। তারাও শিখতে চায়৷ সেই শেখার পথে আবদুল মোমেন হতে পারেন আলোর দিশারী। সেই দিশারীকে কিছু আলো বিশ্ববাসীর মাঝে ছড়িয়ে দিতে পেরে আমরা গর্বিত।'
প্রতিষ্ঠানটি থেকে সবচেয়ে বেশি প্রশংসা ঝরে পড়ে আবদুল মোমেনের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ঘাড়ে দোষ চেপে দেয়ার বিষয়টা। অন্যান্য দেশকেও যেন এমন একটা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী দোষ চাপানো মেশিন ও প্রতিপক্ষ মেশিন ম্যানেজ করে দেয়া যায়-সে বিষয়েও কাজ করবেন তিনি।