নিজের পেটে উৎপাদিত গ্যাস বিক্রি করে কোটিপতি বিখ্যাত গ্যাস্ট্রিকের রোগী সেকলো জামাল

৪০৩ পঠিত ... ১৮:৫০, অক্টোবর ১২, ২০২১

Secli-jamal

অন্যান্য নিত্য পণ্যের পাশাপাশি বেড়েছে গ্যাসের দামও। এই বাড়তি দাম জনগণের জন্য সমস্যার কারণ হলেও আশীর্বাদ হয়ে আসলো জামালের জন্য। এলাকায় তিনি পরিচিত ‘সেকলো জামাল’  নামে। এমন ইন্টারেস্টিং নামকরণের  ইতিহাস খতিয়ে দেখতে গেলে সামনে আসে একটি মজার তথ্য। পেটে প্রচুর গ্যাস হওয়ায় প্রতিদিন অসংখ্য গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ তাকে কিনতে হতো বলে জানিয়েছেন লোকাল ফার্মাসিস্ট। ফার্মেসীর প্রায় সব গ্যাস্ট্রিকের ওষুধই চলে যেতো জামাল মিয়ার বাড়ি।

তবে জানা গেছে, গ্যাসের দাম ২২% বৃদ্ধি পাবার পর থেকে আর গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ কিনতে আসছেন না জামাল মিয়া। এর কারণ হিসেবে জানতে চাইলে জামাল মিয়া এক অদ্ভুত তথ্য দেন। eআরকি প্রতিনিধিকে তিনি জানান, 'বহু বছর ধরে আমার বাসায় গ্যাসের চুলায় রান্না করা হয়। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে ২২% বেশি দামে গ্যাস কিনা সম্ভব না। তাই সিদ্ধান্ত নিছি নিজের পেটের গ্যাস গুলোকেই কাজে লাগাবো। আগে তো খালি বায়ুত্যাগ করতাম। এখন পায়ুপথের সাথে সরাসরি সিলিন্ডারের একটা লাইন করে দিছি। দূষিত বায়ু ওই লাইনেই সিলিন্ডারে যেয়ে জমা হয়...একটু বুদ্ধি না থাকলে টেকা মুশকিল।'

জামাল মিয়া আরও বলেন, 'আমি সারাদিন এখন আলাদা ঘরেই থাকি। একটা সিলিন্ডার ভরতে সাধারণত আড়াইশোবার বায়ুত্যাগ করা লাগে। ভারী বায়ু  অবশ্য দুইশো হইলেই হয়। অনেক মানুষ আমার সিলিন্ডার কিনতে আসতেছে। ইতিমধ্যে দেড় কোটি টাকা লাভ হয়ে গেছে। সামনে আরও হবে ইনশা আল্লাহ...'

এছাড়াও প্রতিবেদন বলছে, নিজের গায়ের চর্বি গলিয়ে তেল উৎপাদনের চেষ্টাও করছেন জামাল মিয়া।

এ ব্যাপারে তিনি আরও জানান, 'তেল, গ্যাস সবই নিজের দেহ থেকেই উৎপাদন করতে পারতেছি। আলহামদুলিল্লাহ সবই অর্গানিক প্রোডাক্ট। তবে পেঁয়াজ, মরিচ কেমনে কি করবো এটা এখনো ঠিক করতে পারিনা.. তবে কিছু একটা হয়েই যাবে..'

সরকারের প্রতি নিজের কৃতজ্ঞতার কথাও জানান তিনি। তিনি বলেন, 'সরকারের উদাসীনতাই আমার আজকের সফলতার চাবিকাঠি। এমন ব্যবসা-বান্ধব সরকার আমি খুব একটা দেখি নি। সরকারকে ধন্যবাদ।'

৪০৩ পঠিত ... ১৮:৫০, অক্টোবর ১২, ২০২১

Top