দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে হিমসিম খাচ্ছে বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ। হুহু করে বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম। চলতি বাজার দর হিসেবে,
- সয়াবিন তেল -১৫০ টাকা (১ লিটার)
- ব্রয়লার সোনালী মুরগি - ৩০০ টাকা (কেজি)
- গরুর মাংস - ৬০০ টাকা (কেজি)
- ডিম - ১১০-১১৫ টাকা (ডজন )
- কেচকি মাছ - ৪৫০-৫০০ টাকা (কেজি)
- রুই - ২৮০-৩০০/৩২০ টাকা (কেজি, মিডিয়াম সাইজ )
- পেয়াজ- ৮০ টাকা কেজি
- কাঁচা মরিচ - ২২০ টাকা কেজি
জানা গেছে, যাদের হৃদরোগের সমস্যা আছে, তাদের বাজারে যেতে একেবারেই নিষেধ করেছেন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা। এদিকে নিত্য ব্যবহার্য দ্রব্যের চড়া মুল্লুকে কেমন কাটছে দিনকাল— খতিয়ে দেখতে রাস্তায় নেমেছিলেন eআরকি'র হাট-বাজার প্রতিনিধি। বাজার সদাইয়ের দোকানগুলোতে এক্সট্রা সাইনবোর্ডে লাগানো হয়েছে মেট্রোরেল এবং পদ্মাসেতুর ছবি। দোকানে যেয়ে যারা দেশের অনুন্নতির কথা বলেন, দোকানদাররা তাদের একবার করে মেট্রোরেল এবং পদ্মাসেতুর ছবি দেখান। ক্রেতা তখন জিনিস না কিনেই খুশিমনে বাড়ি ফেরত আসেন।
এদিকে রাজধানী থেকে জানা গেছে অদ্ভুত এক তথ্য। গতকাল সকাল থেকেই পত্রিকা অফিসগুলোর সামনে খালি তেলের বোতল হাতে দাঁড়িয়ে আছেন অসংখ্য মানুষ। কেন দাঁড়িয়ে আছে এমন প্রশ্নের উত্তরে সালাম (৪০) নামের একজন বলেন, ‘ভাই তেলের লিটার দেড়শো টাকা..কিনতে পারবো না। পত্রিকাওয়ালাদের কাছে অনেক তেল আছে। আমরা সেপ্টেম্বর মাসেই দেখছি জিনিসটা... উনারা যদি আমাদেরকে একটু দিতেন,খুব উপকার হইতো...’
শুধু পত্রিকা অফিস নয় , বিশ্ববিদ্যালয়ের CR (ক্লাস প্রতিনিধি)দের বাসার সামনেও খালি বোতল নিয়ে জমা হচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। সবার আশা একটাই। যে হারে এসব জায়গা থেকে তেল নির্গত হয়, তাতে অন্তত দেড়শো টাকার চেয়ে সস্তা তেলটা এখান থেকেই পাওয়া যাবে।