লক্ষীপুরের মাদ্রাসা শিক্ষককে চুল কাটা শেখাতে আগ্রহী ফারহানা বাতেন

১৩৮ পঠিত ... ১৯:৪৭, অক্টোবর ১০, ২০২১

chul-madrasa-farhana

সামাজিক মাধ্যমে ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরপরই আলোচনায় এলেন লক্ষীপুরের রায়পুরের এক মাদ্রাসা শিক্ষক। ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি ডেকে ডেকে ৬ ছাত্রের চুল কেটে দিচ্ছেন। শুক্রবার রাতে ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থীর মা থানায় মামলা করেন মাদ্রাসার শিক্ষক মঞ্জুরুল কবিরের (৪০) বিরুদ্ধে। শনিবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।  

এদিকে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে যাওয়া একই রকম ঘটনার অভিযোগ এসেছিলো শিক্ষিকা ফারহানা বাতেনের বিরুদ্ধে। ৭ অক্টোবর তদন্ত কমিটির কাছে বক্তব্য উপস্থাপনের কথা থাকলেও  তিনি আরও দু'সপ্তাহ সময় চেয়েছেন।

একই ঘটনার ভিন্ন বিচারে অভিভূত দেশবাসী। স্বয়ং ফারহানা বাতেন এই ব্যাপারে কী মনে করেন এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি (কাল্পনিকভাবে) বলেন, ‘আমার ধারণা মঞ্জুর সাহেব ছাত্রদের চুল ঠিকঠাকমতো কাটতে পারে নাই। আমাকে দেখেন, সুন্দর করে যত্ন নিয়ে কাটছি। তাই আর মামলা টামলা খাইতে হয়নাই। অনেকে আবার রাতে ইমোতে নক দিয়ে বলছে ‘ম্যাম, হেয়ারকাটটা হেব্বি হইছে। আমার কিছু কাজিনও চুল কাটাইতে আসতে চায়....কবে ফ্রি আছেন আপনি?’

ফারহানা বাতেনের ঘর তল্লাশী করে হেয়ার স্টাইলিং নিয়ে বেশ কিছু বই, ট্রিমারসহ বিদেশী অনেক পণ্য পেয়েছে eআরকি'র সিআইডি টিম। এ ব্যাপারে আমাদের কল্পনায় ফারহানা বাতেন বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই মানুষের চুল কেটে দিতে  আমার ব্যাপক আগ্রহ। মনে মনে আমি একজন নাপিত.. আগে থেকেই আমি বিভিন্ন কাট প্র্যাক্টিস করি। আমার ভার্সিটির ছেলেগুলোকে বিভিন্ন কাটের ভেতর থেকে চুজ করতে  দিছিলাম। ওরা নিজেরাই রাহুল কাট চুজ করছে...’

একটি ভিজিটিং কার্ড ধরিয়ে দিয়ে তিনি আরও বলেন, 'ইতিমধ্যে বিউটি পার্লার এবং স্পা চালু করছি। ওই মাদ্রাসার টিচারকে বলবেন আমার কাছে চুল কাটা  শিখে যেতে। শুধু তিনি নয়, আরও যেসব শিক্ষকরা ছাত্রদের চুল কাটার ব্যাপারে নজর দিতে চান, আপনারা আমার পার্লারে আসবেন। এই কোর্সে শিক্ষকদের জন্য ৫০% ডিসকাউন্ট। আফটার অল, কলিগ বলে কথা.....' 

১৩৮ পঠিত ... ১৯:৪৭, অক্টোবর ১০, ২০২১

Top