দেশের চিকিৎসাবিজ্ঞানে অভাবনীয় ও নতুন সংযোজন হলো ‘বিয়ে থেরাপি’। এই থেরাপি আবিষ্কার করেছেন দেশের বেশ কিছু গাইনোকোলজিস্টসহ, মা-বাবা, খালা, চাচা, এলাকার মুরব্বি ও পাশের বাসার আন্টির একটি বিশাল দল।
জানা গেছে, 'বিয়ে করলেই সব অসুখ ঠিক হয়ে যাবে'— এরকম একটি ধারণা থেকেই এই পদ্ধতি আবিষ্কার হয়েছে৷ ইতোমধ্যেই একটি বিশাল জনগোষ্ঠী এই থেরাপির দ্বারা লাভবান হয়েছেন বলেও জানা যায়। মাথাব্যথা, পেটে ব্যথা, কিডনিতে পাথর, মেয়েদের মেন্সট্রুয়াল সাইকেলে সমস্যা, PCOS, লিভার সিরোসিস, নেফ্রোটিক সিনড্রোম, সাইকোলজিক্যাল সমস্যাসহ আরও বিভিন্ন অসুখে এই চিকিৎসা দেওয়া হয়।
তবে সম্প্রতি এ পদ্ধতির অভূতপূর্ব সাফল্য দেখে নড়েচড়ে বসেন বিশ্বের নানান দেশের বিজ্ঞানীরা। অবশেষে কয়েকজন বিজ্ঞানী নিজেই বিয়ে করে উপলব্ধি করেন, বিয়ে থেরাপি ক্যান্সার, এইডসসহ আরও কিছু মরণব্যাধি সারাতেও সক্ষম!
একটি সম্পূর্ণ অনির্ভরযোগ্য সূত্র অনুযায়ী, অলরেডি ক্যান্সার হাসপাতালগুলোতে কেমোথেরাপির বদলে বিয়েথেরাপি শুরু হয়েছে। অবিবাহিত রোগীদের বিছানার সামনে লাইন ধরে অপেক্ষায় আছেন তাদের ফিয়ন্সেরা।
জমিরন (২৩) নামের একজন রোগী জানিয়েছেন, 'আগে ভাবতাম ডাক্তার আফারা খালি খালি বিয়া করলে অসুখ ভালা হইয়া যাইবো কয়। বিয়ার পর থেইকা আমার সব কিলিয়ার। কিডনীতে পাথর হইছিলো। বাসর রাতে গইলা গেছে... আবার হইলে আবার বিয়া করমু... ওষুধ তো পাইছিই...'
জমিরনের মতো আরও হাজার হাজার জমিরন জানিয়েছেন একই তথ্য। তারা সবাই হাসপাতাল থেকে রিলিজ হয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। তবে এক গোপন সূত্র থেকে জানা গেছে, এতে গভীর চিন্তায় পড়ে গেছেন দেশের চিকিৎসক সমাজ। হতাশ এক ডাক্তার বলেন, 'বিয়ে করলেই যদি সব রোগ ভালো হয়ে যায়, তাহলে মনে হয় আমাদের ডাক্তারদের বিয়ে হওয়াই বন্ধ হয়ে যাবে ভাই!'