পত্রিকায় ছবি না আসায় ছাত্রদের উপর ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা, প্রথমদিনই কি ওরা স্কুল পালিয়েছে?

৩৮১ পঠিত ... ১৬:২৮, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২১

potrikay chatro

দেড় বছর পর গতকাল খুলেছে স্কুল-কলেজ। ছাত্রছাত্রীরা মহাউল্লাসেই প্রিয় প্রতিষ্ঠানে গিয়েছে, ক্লাস করেছে। এমন মহা উৎসবের মত দিনের ছবিও প্রকাশ হয়েছে দেশের পত্র-পত্রিকায়। আর এই ছবিগুলোই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে ছেলে শিক্ষার্থীদের জন্য। দেশের প্রায় সবগুলোই পত্রিকাতেই ছাপা হয়েছে মেয়েদের ছবি। সেই ছবি দেখেই অবিশ্বাস জন্ম নিয়েছে অভিভাবকদের মাঝে। পত্রিকায় ছেলেদের কোন ছবি না থাকায় বেশিরভাগ ছাত্রের অভিভাবকরা ধরে নিয়েছে, দেড় বছর পর প্রথম দিনেই ছেলেগুলো স্কুল পালিয়েছে। অনেক ক্ষুব্ধ অভিভাবক অনেক ছাত্রকে বাড়ি থেকেও বের করে দিয়েছেন বলে জানা যায়৷

এমনই এক অভিভাবক জোসনা বেগম। তাঁর ছেলে সিফাত রাজধানীর এক স্বনামধন্য স্কুলে পড়ে। কিন্তু জোসনা বেগম ১৮টি পত্রিকার কোথাও ছেলের ছবি না দেখে ক্ষোভে ফেঁটে পড়েন৷ দুইটা ঝাড়ুর বাড়ি দিয়ে ছেলেকে বাসা থেকে বের করে দিয়ে আমাদের বলেন, 'ওর তো রেকর্ড আছে স্কুল পালানোর। আমার আগেই সন্দেহ হইছিলো! সেটাই সত্যি হলো। দেড় বছর পর স্কুল খুলছে তাও ওয় স্কুলে যায় নাই! এই ছেলেরে নিয়া আমি কী করুম! হইছে বাপের মত। বাপও এমন স্কিল পালাইতো।' এইটুকু বলেই ছেলের গন্তব্যপথের দিকে একটি জুতো ছুড়ে মারেন তিনি।

তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে ছাত্ররা। বরং পক্ষপাতিত্ব করে কুচক্রী সাংবাদিকরা দলবদ্ধ হয়ে দেশের সকল ছাত্রদের ফাঁসিয়েছে বলেও জানায় তারা৷ এমনই একজন বলেন, 'আমরা তো পরিস্থিতির শিকার। আমার মাও আমাকে বের করে দিছে। সব দোষ তো আসলেই ওই সাংবাদিকগুলার৷ হাতে-পায়েও ধরছি তবু ওরা ছবি তোলে নাই। কেমন নিষ্ঠুর দেখেন।'

এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলি আমরা। তারাও সকল দোষ ক্যামেরার উপর চাপিয়ে দেয়। এক সাংবাদিক বলে, 'ছেলেদের দিকে ক্যামেরা তাক করলে ক্যামেরার ভেতর থেকে গায়েবি হুমকি আসে৷ ক্যামেরা কাঁপে। ক্লিক করতে পারি না। অলৌকিক কাজবার। সেজন্য বাধ্য হয়েই মেয়েদের ছবি তুলতে হয়৷'

৩৮১ পঠিত ... ১৬:২৮, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২১

Top