স্কুল-কলেজ-ভার্সিটি খোলার খবরে পুরান বইয়ের দোকান ও টেইলার্সে উপচে পড়া ভিড়

৫১০ পঠিত ... ১৬:৫৭, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০২১

school khola tailors boi

দেড় বছরেরও বেশি সময় পর ১২ সেপ্টেম্বর থেকে খুলতে যাচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এমন খবরে দেশের আনাচে কানাচে পুরান বইয়ের দোকানের পাশাপাশি উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে টেইলার্সের দোকানগুলোতেও। একটি ভুয়া জরিপের ফলাফল থেকে জানা যায়, দেশের ৮০% শতাংশ শিক্ষার্থী নিজেদের বই বিক্রি করে দিয়েছে৷ ১০ শতাংশ বই হয়েছে ইঁদুরের খাবার। ৫ শতাংশ বই কোথায় রেখেছে মনে করতে পারছে না। বাকি ৫ শতাংশ বই দিয়ে ক্যালেন্ডার বেঁধে ফেলা হয়েছে।

এদিকে ইউনিফর্মের ক্ষেত্রেও ঘটেছে এমন ঘটনা। সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলেও দেখা যায়, দীর্ঘ দেড় বছরে কোন এক অলৌকিক কারণে অনেকের ইউফর্মগুলোত দৈর্ঘ্য-প্রস্থ কমে গেছে৷ কারো কারো ইউনিফর্ম ঘর মোছার ন্যাকড়া, লুছনি কিংবা ফার্নিচার মোছার কাপড়ে পরিণত হয়েছে। কিছু ইউনিফর্ম হয়েছে ইঁদুরের খাবার।

এমন পরিস্থিতিতে স্কুল খোলার খবরে পুরান বইয়ের দোকান ও টেইলার্স দোকানে উপচে পড়া ভিড় থাকাটাই স্বাভাবিক। রাজধানীর পুরান ঢাকার এক টেইলার্স মালিকের কথা বলতে গেলে তিনি শুরুতে আমাদের সাথে কথা বলতে রাজি হননি। আমরা জামা সেলাই করতে আসিনি শুনে তিনি কথা বলতে রাজি হন৷ তিনি জানান, 'ইদের চেয়েও বেশি ভিড়৷ আমরা ইতোমধ্যে অর্ডার নেওয়া বন্ধ করেছি। ওয়ানটাইম ইউজের জন্য কিছু ইউনিফর্ম বানাচ্ছি, কিছু শিক্ষার্থী ওগুলাও নিয়ে যাচ্ছে।'

এক শিক্ষার্থী জিহ্বায় কামড় খেয়ে জানান, 'গত বছর বইগুলা পুরান দোকানে বিক্রি করে দিছিলাম। এবার একই দোকানে বই কিনতে আইসা দেখি আমারই বই... কি একটা অবস্থা বলেন তো!'

নীলক্ষেতের এক পুরান বইয়ের দোকানির সাথেও কথা বলি আমরা। পুরান বইয়ের জোগান দিতে প্রচুর হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে জানান তিনি৷ তিনি বলেন, 'আগের বই তো রাখছি, এর মধ্যে কাগজের ঠোঙ্গায় লুকিয়ে থাকা বইয়ের পৃষ্ঠাগুলোকে সাজিয়েও বই বানাতে হচ্ছে৷ বাজারে প্রচুর চাহিদা।'

৫১০ পঠিত ... ১৬:৫৭, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০২১

Top