বাংলাদেশে ৯০ শতাংশ মানুষের দাঁতের ফাঁকে আটকে আছে মাংস। গত ৪-৫ দিন ধরে এটি একটি বিশালাকায় জাতীয় সমস্যায় পরিণত হয়েছে। এই সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছেন ৩০০ সরকারি কর্মকর্তা। একটি ভূয়া সূত্র থেকে জানা যায়, বিশেষ এক কমিটি গঠন করে দাঁতের ফাঁকে আটকে থাকা মাংস বের করা শিখতে বিদেশ যাবেন ৩০০ সরকারি কর্মকর্তা।

দাঁতের ফাঁকে আটকে থাকা এই মাংস দেশের উৎপাদন ক্ষমতা কমিয়ে দিয়েছে। জিডিপি থেকে শুরু করে মাথা পিছু আয়েও এর প্রভাব দৃশ্যমান। এমনটাই জানিয়ে পিয়নকে দিয়ে দাঁত খোঁচাতে খোঁচাতে এই কমিটির এক কর্মকর্তা বলেন, 'দাঁতের ফাঁকে আটকে থাকা মাংসের যন্ত্রণায় কেউ মনোযোগ দিয়ে নিজের কাজটি করতে পারছে না। বারবার সব মনোযোগ দাঁত কেড়ে নিচ্ছে। কাজের পরিবর্তে হাত বারবার মুখে চলে যাচ্ছে। জিহ্বার উপর প্রভাব পড়ছে বেশ। সো দেশের উন্নয়ন ধরে রাখার জন্য জিহ্বাধিকার অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য হলেও বিদেশ সফরটি অনেক বেশি দরকার।'

দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম বোঝার সচেতনা সম্পর্কেও মানুষকে একটি বার্তা দেবে এই বিদেশ সফর। এমনটা জানান সফরের সাথে সম্পৃক্ত সরকারি কর্মকর্তারা। তারা বলেন, 'বাংলাদেশের মানুষ এমনিতেও দাঁত বিষয়ে খুব একটা সচেতন না। ফলে তাদের দাঁত যেখানে সেখানে খসে যায়। আমাদের এই সফর পাড়ায় পাড়ায়, মহল্লায় মহল্লায় দন্ত সচেতনতা বাড়াবে। উন্নয়নশীল দেশের পাশাপাশি আমরা হবো দাঁতে স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশ।'

দলটি দাঁতের ফাঁকে মাংস বের করা শিখতে ভারতে যাবে। সেখানে ৩ মাসের সফর শেষে দেশের গ্রামে গ্রামে বিশেষ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে মানুষকে দাঁতের ফাঁকের মাংস বের করা শেখাবে। ততদিন পর্যন্ত জনগণকে দাঁতের ফাঁকের মাংস বের না করার অনুরোধ করেন তারা। ভারত থেকে বিশেষ টুথপিকও আনা হবে বলে জানা যায়। বিশেষ ব্যাম্বো দিয়ে তৈরি এই টুথপিকের প্রতি প্যাকেটের দাম পড়বে ৫ ডলার করে। সফরটি সরকারি হলেও টুথপিকগুলো আনা হবে টেক্সিমকো ফার্মার মাধ্যমে।