সম্প্রতি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) সন্ধান পাওয়া গেলো ‘ফ্লার্টিং ইঞ্জিনিয়ারিং’ নামক নতুন ডিপার্টমেন্টের। এতদিন পর্যন্ত এই ডিপার্টমেন্টের কথা জনসাধারণের অগোচরে থাকলেও গতকাল একটি ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে তা সবার নজরে আসে। অভিনব এই ডিপার্টমেন্টে মেয়ে পটানোর উপায় নিয়ে আলোচনা ও গবেষণা করা হয়।
ডিপার্টমেন্ট হেড জারিফ ইকরাম eআরকিকে জানিয়েছেন, 'আমি প্রথমে ভর্তি হয়েছিলাম সিএসই-তে। একটা সময় খেয়াল করলাম, এসব আমার আর ভালো লাগছে না৷ আমার বন্ধুরা মেয়ে পটাতে চাইতো, কিন্তু পর্যাপ্ত জ্ঞানের অভাবে তা পারতো না৷ যেহেতু আমার পর্যাপ্ত জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা দুটোই ছিলো, আমিই এই মানবিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ডিপার্টমেন্ট চালু করলাম। সবকিছুরই তো একটা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার দরকার আছে... তাই না?'
জানা গেছে, এই বিভাগে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কোর্সগুলো হলো—
(১) ‘ইন্ট্রোডাকশন কোর্স’,
(২) ‘পিকচার কোর্স’, এবং
(৩) ‘কিসিং ইমোজি কোর্স’
ডিপার্টমেন্ট হেড জারিফ ইকরামের সাথে শিক্ষক হিসেবে নিয়োজিত আছেন জারীফ হোসাইন, সালমান সায়ীদ এবং জায়ীদ মনোয়ার চৌধুরি। তারা প্রত্যেকেই ব্যক্তিজীবনে নিষ্ঠাবান এবং পরিশ্রমী বলে জানিয়েছেন জারিফ ইকরাম।
‘পরীক্ষা কীভাবে হয়’ এমন প্রশ্নের উত্তরে জানা গেলো এক বিরল ও মজার তথ্য। এই বিভাগে রিটেন কোনো পরীক্ষা নেই। ভাইভা এবং প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষার উপরই ফলাফল নির্ভর করে। পরীক্ষার হলে প্রশ্নপত্রে ফ্রেন্ডলিস্টের নির্ধারিত মেয়ের নাম লেখা থাকে। মেসেঞ্জারে নক দিয়ে যে যত দ্রুত তাদের পটাতে পারে, তাদের মার্কস তত বেশি হয়। এ সময়ে তাদের সাথে থাকেন সম্মানীত শিক্ষকমন্ডলী৷
ডিপার্টমেন্টের এক্স-স্টুডেন্ট ও নবীন শিক্ষক জারীফ হোসাইন বলেন, 'দেখুন, আমাদের জীবনে প্রতিটি ক্ষেত্রেই সফলতা দরকার। সফল হতে হলে একটু বাধা বিপত্তি তো আসবেই। সিমিলারলি, ফ্লার্ট করতে গেলেও মাঝেমাঝে বিপদে পড়তে হয়, পাবলিক শেমিং এর মুখে পড়তে হয়। তাই বলে কি আমরা থেমে থাকবো?'
তিনি আরও জানান, 'আমরা ছাত্রদের উৎসাহ প্রদান করার জন্য বিদেশে পিএইচডির ব্যবস্থাও চালু করেছি। দেশীয় মেয়ে পটানোর পর তাদের দক্ষতা পরীক্ষার জন্য বিদেশে পাঠানো হবে।' তবে পিএইচডি করার জন্য আগে ডিপার্টমেন্টের স্পেশাল কোর্স 'বালিশ সিডাকশন' এ উত্তীর্ণ হতে হবে বলে জানান তিনি।
