কর্মক্ষেত্রে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে বাজারে আসছে নতুন এক ক্যাপসুল। বিশেষ করে মেয়েদের জন্য তৈরি করা এই লাফিং ক্যাপসুল সেবনে মুখে সর্বদা লাস্যময়ী হাসি লেগে থাকবে। অফিসের পাশাপাশি অফিসের বাইরেও কোন কলিগ কিংবা বসের সাথে দেখা হয়ে গেলে মুখে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে অফিশিয়াল হাসি ফুটে উঠবে।
অফিসে মেয়েদের নানাবিধ সমস্যা সমাধান করে দেবে এই ক্যাপসুল। মানসিক চাপ, পারিবারিক সমস্যা, বকা শুনলে, আনঅফিশিয়ালি বসের সাথে থাইল্যান্ড যাওয়ার অফার পেলেও মেয়েদের মুখে বিরক্তি, ক্ষোভের পরিবর্তে লাস্যময়ী হাসি লেগে থাকবে। এতে অফিসের উন্নয়ন হবে, বিজনেস বাড়বে। এমনটাই জানালেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বস পর্যায়ের এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, 'মেয়েরা না হাসলে অফিসে কাজ কাম আগায় নাকি! অলক্ষি লাইগা যায়। ক্লায়েন্ট ছুইটা যায়। বহুত ঝামেলা। এইতো কিছুদিন আগে এক নারী কর্মীকে বললাম আমার সাথে ডিনারে যাওয়ার কথা। মেয়েটা তো গেলোই না, উলটা মুখ টুখ কালো কইরা ফেললো, এখন অফিসের কেউ আমাকে দেখলে আর হাসে না। এই ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্য এই ক্যাপসুলের দরকার আছে।'
নিজের একটি ব্যক্তিগত নেতিবাচক অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেন অন্য এক নারী চাকরিজীবী। একটি বিশেষ মুহূর্তে মুখে হাসি না থাকার কারণে প্রমোশন আটকে গিয়েছিলো তার। তিনি জানান, 'বস একবার তার সাথে থাইল্যান্ড ট্যুরে যেতে বলছিলেন, আমি না করে দিয়েছিলাম। এরপর আমার প্রমোশন আটকে যায়। কেপিএ রিপোর্টে বলা ছিলো, বসের অফার রিজেক্ট করার সময় আমার মুখে নাকি হাসি ছিলো না।'
এইচআরদের কাজও অনেকটাই কমিয়ে দেবে এই লাফিং ক্যাপসুল। এমনটাই জানালেন লেডিস অ্যান্ড জেন্টলম্যান সিরিজের সাংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্রের এইচআর নওশাদ। তিনি বলেন, 'আমরা আমাদের অফিসে বিশেষ করে মেয়েদের জন্য লাফিং ক্যাপসুল বাধ্যতামূলক করবো। এতে কাজ অনেকটাই কমে যাবে। কোন মেয়ে যৌন হয়রানীর অভিযোগ নিয়ে আসলে স্ট্রেইট বলে দেবো, 'আপনি তো সবসময় হাসেন, নিশ্চয়ই অভিযুক্ত ব্যক্তি আপনার হাসি দেখে উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলেন। মানুষকে উত্তেজিত করার অপরাধে আপনারই শাস্তি হওয়া উচিত।'