সকাল হলেই কোপা আমেরিকার ফাইনালে মুখোমুখি ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা। এই খেলা নিয়ে সারা বিশ্ব মাতোয়ারা হলেও স্বয়ং মেসি-নেইমার মেতে আছেন অন্য এক খেলা নিয়ে। জানা যায়, ফাইনাল শেষেই বিশেষ ফ্লাইটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আসবেন এই ফুই ফুটবলার। কোপা আমেরিকার চেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় খেলা কেমন হয় তাই দেখার জন্য অধির আগ্রহের বসে আছেন তারা।
ব্যাগ গোছাতে গোছাতে আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি মেসি বলেন, 'ব্যাগ গুছিয়ে রাখছি। একদমই দেরি করতে চাই না। এরপর আগে একবার বাংলাদেশে গেছিলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যাইতে দেয় নাই ওরা। সেজন্য এবার প্লেন ডিরেক্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়াতেই নামবে। কবে যে কোপার জামেলা শেষ হবে। ব্যাডলি ওয়েটিং।'
মেসির চেয়ে নেইমার আরো এক ধাপ এগিয়ে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খেলা দেখার পাশাপাশি সুযোগ পেলে এই 'ওয়ার্ল্ড গ্রেটেস্ট শো' তে অংশগ্রহণও করতে চান তিনি। সেই লক্ষ্যে একটা ট্যাঁটা ও একটা বল্লমও রেখেছেন ব্যাগে। নেইমার বলেন, 'উত্তেজনা হয়তো ধরে রাখতে পারবো না। প্রিয় দল ব্রাজিলের হয়ে যদি মাঠে নামতে হয়! তখন যেন এদিক সেদিক খোঁজা না লাগে।'
কোপা আমেরিকা মূলত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খেলা-এমনটাও দাবি করেন মেসি-নেইমার। সমস্বরে 'ইটস কামিং হোম' গান গাইতে গাইতে দুজন বলেন, 'কোপাকুপি ব্যাপারটা তো ওদের। ইতিহাস ঘাটলে দেখা যাবে কোপা আমেরিকা প্রথমে ওরাই শুরু করেছিলো। লোহার বল দিয়া খেলতো। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মত আমাদের পটেনশিয়াল নাই দেখেই আমরা হাওয়ার বল দিয়া খেলি। সেজন্য কাপ ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীকে দিয়ে আসবো। ইটস কামিং হোম।'
ব্রাহ্মণবাডিয়ার এই খেলার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চান নেইমার। তিনি বলেন, 'কলম্বিয়া ফুটবল খেলতে পারলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এই খেলাও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতে পারে। টিভি সম্প্রচার পাইতে পারে। প্রতিবার হয়তো আমরা গ্যালারি বসে খেলা দেখতে পারবো না, টিভি সম্প্রচার পেলে তো অন্তত অনলাইনে হলেও দেখা যাবে। শুধু স্কোর জাইনা আসলে পোষায় না, প্রকৃত মজা পাওয়া যায় না।'