বাংলাদেশি বুদ্ধিজীবীদের জন্য ফেসবুক নিয়ে আসছে 'প্যাচাইন্না টিক ভ্যারিফিকেশন'

৪৭১ পঠিত ... ১৮:৩৫, জুলাই ০৫, ২০২১

Pechainna-tick

বুদ্ধিজীবী মানেই সম্মানী মানুষ। কিন্তু ফেসবুকে আসলে মনে হয়, যার ফেসবুক একাউন্ট আছে তিনিই বুদ্ধিজীবী। তাহলে দেশ ও জাতি রক্ষায় কি সবাই বুদ্ধি দিতে পারবে? কীভাবে বোঝা যাবে কে বুদ্ধিজীবী বা কার বুদ্ধি নিতে হবে?

এমন জটিলতার অবসান ঘটাতে বুদ্ধিজীবীদের প্রতি সম্মানের মাত্রা আরো একটু বাড়াতে আলাদা 'প্যাচাইল্লা ব্লু টিক' ভ্যারিফিকেশন মার্ক নিয়ে আসছে ফেসবুক। বুদ্ধিজীবীদের মাথায় সবসময় বুদ্ধি গিজগিজ করতে করতে প্যাঁচিয়ে যায়, সেজন্য এমন প্যাচাইন্না ব্লু মার্ক- প্যাচাইন্না টিকের দর্শন সম্পর্কে এমনটাই জানা ফেসবুকে প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ।

এই টিকের বিষয়ে মার্ক আরো জানান, 'বাংলাদেশে দেখেই বুদ্ধিজীবীদের ফেসবুকে মানুষ খুব একটা সম্মান করে না। তাদের পোস্টে হাহা দেয়। কমেন্টে গিয়া দ্বিমত করে, সহমত করে না। অনেকে বেয়াদবের মত তর্ক করে। এইসব জটিলতা নিয়ে বাংলাদেশি অনেক বুদ্ধিজীবী আমাদের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় আমাদের এমন যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। আশা করি, এতে দেশের বেয়াদব ও তর্ক করা ছেলেমেয়েরা ভালো হয়ে যাবে। তারপরও যদি ভালো না হয়, আমরা অতি দ্রুত থাপ্পড় ইমোজিও নিয়ে আসবো। সেই ইমোজি ব্যবহার করে থাপ্পড় দিয়ে পরবর্তী প্রজন্মকে লাইনে আনবে বুদ্ধিজীবীরা।'

এই প্যাচাইন্না ব্লু টিক দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আদব-লেহাজ শেখাবে বলেও জানায় ফেসবুক। এক বিবৃতিতে তারা বলেন, 'প্যাচাইন্না টিক দেখলে একটু কুঁজো হয়ে সেখানে লাইক কমেন্ট করতে হবে। আইডিতে ঢোকার ক্ষেত্রেও এমন ভদ্রতা বজায় রাখতে হবে। প্যাঁচাইন্না আইডিতে লাইক, কমেন্ট, শেয়ার করার আগে একবার স্লামালেকুম ও পরে একবার স্লামালেকুম বলারা ভবিষ্যৎ বুদ্ধিজীবী হওয়ার দৌঁড়ে এগিয়ে থাকবেন।'

তবে এই প্যাঁচানো টিকের ডিজাইন সম্পর্কে অসন্তুষ্ট কয়েকজন বুদ্ধিজীবী। একজন বলেন, 'টিকের প্যাঁচটা আমার পছন্দ হয় নাই। খুবই অল্প প্যাঁচ হয়ে গেছে, আরও প্যাঁচানো দরকার ছিল।'

এদিকে এমন খবরে রংপুরের ৭ বছর বয়সী এক বাচ্চা টেলিভিশনের চুম্বক দিয়ে মোটর বানিয়ে সেই মোটর দিয়ে ছোট ফ্যান বানানোর বুদ্ধি দিয়ে প্যাঁচাইন্না টিক দাবি করে বসেছে। বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশি বুদ্ধিজীবী মহলে অসন্তোষ দেখা গেছে।

৪৭১ পঠিত ... ১৮:৩৫, জুলাই ০৫, ২০২১

Top