কুষ্টিয়া সুগার মিল থেকে চিনি সরানোর অভিযোগে ১০০০ পিঁপড়া আটক

৫৬৭ পঠিত ... ১৫:৪১, জুন ০৭, ২০২১

chini-2

'এই অভিযান আমাদের স্মরণকালের সেরা একটি অভিযান হিসেবে মনে রাখা হবে', বলছিলেন গোয়েন্দা সংস্থার এক সদস্য।

চিনি ছাড়া রং চা খেতে খেতে তিনি আরও বলেন, 'আমরা যখন চিনি চুরির খবর পাই, তখনই আমরা নিশ্চিত ছিলাম, কে বা কারা এই কাজ করতে পারে। সিভিল ড্রেসে চুপি চুপি কারখানার আশেপাশে ঘুরতে থাকি। আমাদের আতশকাঁচে ধরা পড়ে, কিছু পিঁপড়া মাথায় করে চিনি নিয়ে দৌড়াচ্ছিল। আমরা ফোর্স নিয়ে সেখানে গেলে ঘটনাস্থল থেকে ১০০০+ পিঁপড়াকে আটক করি। তবে পাল্টা আক্রমণে আমাদের কয়েকজন সদস্য আহত হয়। এখন পিপড়ার বাসা ভেঙে ৫২ টন চিনি বের করে আনা শুধু সময়ের অপেক্ষা।'

উল্যেখ্য যে, কুষ্টিয়া সুগার মিলের গুদামে মজুদ ছিল প্রায় ১১০ মেট্রিক টন চিনি। সেখান থেকে ৫২ মেট্রিক টনের কোনো হদিস মিলছে না। কারখানার এমডি, সিবিএর সভাপতি, সেক্রেটারি কেউই জানেন না তাদের মিলের চিনি কোথায় গেল।

তবে পিঁপড়া গ্রেফতারের ঘটনায় তারা সবাই জানে পানি ফিরে পেয়েছেন। সিবিএর সভাপতি বলেন, 'এটা খুবই ন্যাক্কারজনক ঘটনা। গত ১০-১২ বছর ধরেই এই চক্রটি কাজ করে আসছিল। তাও ভালো, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর চৌকস তদন্তে শেষ পর্যন্ত উপযুক্ত অপরাধী ধরা পড়েছে।'

ব্যবস্থাপনা পরিচালকের ফেইক হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে ফোন দিলে তিনি বলেন, 'এই পিঁপড়ার চক্রকে আগে পাওয়া গেলে গত বছর যে এমডি দুর্নীতির অভিযোগে বরখাস্ত হইছিলেন, তা হইতো না। যাক, তাও ভালো এখন পাওয়া গেছে।'

জানা যায়, ১৯ বছরে ৪২০ কোটি টাকা লোকসান এই সুগার মিল থেকে, শুধু এইসব পিঁপড়ার কারণে। এদের কঠোর শাস্তি চেয়েছেন কারখানার নীতিবান কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ।

তবে অনেকেই অভিযোগের আঙ্গুল তুলেছেন। সুষ্ঠু তদন্ত না হওয়ার অভিযোগ জানান অনেকেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, 'আমি ক্লিয়ার দেখসি, চিনি নিয়া যাইতেছে লাল পিঁপড়া। অথচ সবডি কালো পিঁপড়ারে এরেস্ট করছে। আমি এই বর্ণবৈষম্যের প্রতিবাদ জানাই।

৫৬৭ পঠিত ... ১৫:৪১, জুন ০৭, ২০২১

Top