ইদ নিয়ে কনফিউশনের রেকর্ডে বাংলাদেশের মতো আর কোন দেশের ইতিহাস আছে কিনা জানা নেই। সন্ধ্যায় ইদ ঘোষণা না করলেও রাত ১২টার নোটিশে কেবল এই দেশেই ইদ হতে দেখা গেছে। চাঁদ দেখা কমিটির এমন অপারগতায় কিছুটা অসন্তোষ দেখা গেছে নির্বাচন কমিশনের মাঝে। ইদ নিয়ে এই কনফিউশন দূর করার লক্ষ্যে কাজ করতে চায় তারা। একটি ভূয়া সূত্র মারফত চাঁদ দেখা কমিটির দায়িত্ব নেয়ার আগ্রহের কথা জানান।
নির্বাচন কমিশনের এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা উষ্মা প্রকাশ করে নিজের ফেক আইডি থেকে বলেন, 'একটা সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও আন্তর্জাতিক মানের নির্বাচনের দেশে ইদ নিয়ে কনফিউশন কোনভাবেই মানা যায় না! এটি আমাদের সংস্কৃতি, জাতিগত গর্বকে ছোট করে ফেলে। বাংলাদেশের নির্বাচন যেমন বিশ্বের অন্যান্য দেশে অনুকরণীয়, তেমনি চাঁদ দেখা কমিটিও অনুকরণীয় হওয়া উচিত। আমরা বিশ্ববাসীর কাছ থেকে যে সুনাম অর্জন করে এনেছি এই কমিটিটি সৌদিকে অনুকরণ করে আমাদের সেই অর্জন ধুলায় মিশিয়ে দিয়েছে।'
অন্য এক কর্মকর্তা বলেন, 'আমরা শত বাধা বিপত্তি পার হয়ে দিনের কাজটিও রাতে করে ফেলি। আর ওনাদের কাজ তো রাতেই! সেক্ষেত্রে ওনাদের আরও বেশি সুবিধা পাওয়ার কথা। সব সম্ভবের রাত বাংলাদেশে ছাড়া আপনি আর কোথাও পাবেন না। আমাদের দেখে যদি কেউ কিছু না শেখে, হাতে ধরে শেখাবো নাকি!'
দায়িত্ব পালনে নিজেদের দক্ষতার প্রমাণ দিতে কিছু পরিকল্পনার কথাও জানান নির্বাচন কমিশন। এক কর্মকর্তা নিজের ফেক আইডি থেকে বলেন, 'দেখেন, কনফিউশন দূর করার জন্য দরকার লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড পেলেই না আকাশে চাঁদ উঠবে। ইদ হবে। সেটা আগে নিশ্চিত করতে হবে। তাছাড়া চাঁদকে বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে ধরলেই হয়ে যায়। বাকি কাজ তো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। আগের মাসে উঠলেই ব্যাটাকে আটকে রাখা হবে। পরের মাসে না উঠে আর যাবে কই!'