নৌকাডুবি উপন্যাস লেখার জন্য রবীন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা

১৭১১ পঠিত ... ২১:৪০, মে ১০, ২০২১

rabi-noukadubi

প্রকাশের প্রায় ১০০ বছরেরও বেশি সময় পর নৌকাডুবি উপন্যাসের জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা খেতে যাচ্ছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। জোড়াসাঁকোর ৭২ নং ওয়ার্ডের ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুল মোতালেব বাদি হয়ে জোড়াসাঁকো থানায় রবীন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে মামলা করেন বলে একটি সম্পূর্ণ ভূয়া সূত্র মতে জানা যায়।

বাদি আবদুল মোতালেব ১০০ টিরও বেশি অভিযোগ আনেন রবীন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে। নৌকাডুবি উপন্যাসটিকে একটি বানোয়াট, মিথ্যাচার ও দেশদ্রোহীতায় ভরপুর উপন্যাস বলে দাবি করেন তিনি। পাশাপাশি রবীন্দ্রনাথকে চেতনাবিরোধী, বিএনপির প্রেতাত্মা ও উন্নয়নের পথে একটি জলজ্যান্ত বাঁধাও বলেও আখ্যায়িত করেন।

তিনি বলেন, 'ফেসবুকে ভাইদের পোস্টের নিচে 'সহমত ভাই' লেইখা শান্তি পাই না। কিছুক্ষণ পরে গিয়া দেখি ডুবে গেছে। রবীন্দ্রনাথ নামক এই কুচক্রি বেনিয়া লোকটার নৌকাডুবির কারণে এমনটা হচ্ছে বলে জানি আমরা।'

এই উপন্যাসের মাধ্যমে রবীন্দ্রনাথ কৌশলে দেশে বিদেশী সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ ঘটাতে চেয়েছেন বলেও দাবি করেন একজন। তিনি বলেন, 'উপন্যাস পড়ি নাই, সিনেমা দেখছিলাম। এই দাঁড়িওয়ালা খচ্চরটা গল্পটার ক্রস কানেকশন ঘটাইছে। আমাদের দেশে এইসব চলবে না।'

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিরুদ্ধে দেশীয় সংস্কৃতিকে ডুবিয়ে দেয়ার অভিযোগও আনেন একজন। তিনি বলেন, 'নৌকা আমাদের ঐতিহ্যের অংশ। সে নৌকা ডুবিয়ে প্রতিকি ভাবে এই কুচক্রিটা ঐতিহ্যকে ডুবিয়েছে। সে লঞ্চডুবি লিখতে পারতো, স্টিমার, ট্রলার, জাহাজ কিংবা টাইটানিক ডুবিও লিখতে পারতো। এতকিছু না হোক, ধানের শীষ ডুবি লিখলেও তো কোন সমস্যা ছিলো না। সে লিখেছে নৌকাডুবি! সোনার তরীতে তো হয়ই নাই আমাদের নৌকাতে ও এই কুলাঙ্গারটার ঠাই হবে না।'

এক গোপন সূত্রে আমরা জানতে পারি, মামলার নথিতে রবীন্দ্রনাথকে জোড়াসাঁকো ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতির ছেলে বলেও উল্লেখ করা হয়।

১৭১১ পঠিত ... ২১:৪০, মে ১০, ২০২১

Top