রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখা গেলো মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসা অতিথি উট

৮৯৬ পঠিত ... ১৪:৪৪, এপ্রিল ২৭, ২০২১

Ut

মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসা অতিথি উটে গমগম করছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস। ক্যাম্পাসের রাস্তায় হাঁটতে গেলেই উটের পায়ের মধুরতম খট খট আওয়াজে মন প্রাণ ভরে উঠছে দর্শনার্থীদের। গরমে পাগল হয়ে যাওয়া একটি ভুয়া সূত্র মারফত জানা যায়, মধ্যপ্রাচ্যে পর্যাপ্ত গরম না থাকায় জীবন ও জীবিকার জন্য এই উটেরা হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে রাজশাহীতে এসে বসতি স্থাপন করছে। গরম চলে গেলে আবার মধ্যপ্রাচ্যে চলে যাবে তারা।

এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে রোদ পোহাতে পোহাতে গরম পানিতে চুমুক দিয়ে সৌদির এক উট উচ্ছ্বাস ভরা কণ্ঠে আমাদের বলেন, 'সৌদিতে গরম নাই! কী খাইয়া বাঁচুম বুঝে উঠতে পারছি না। খবর পাইলাম, বাংলাদেশে খেয়ে পরে বেঁচে থাকার মত পর্যাপ্ত গরম আছে। তাই চলে আসা। পিঠে রোদ লেগে ছ্যাৎ করে উঠলেই আনন্দে মনটা ভরে যায়।'

ইরাক থেকেও এসেছেন বেশ কিছু উট। তবে গরম থাকলেও মরুভূমির অভাবে ভুগছেন তারা। প্রানভরে গড়াগড়ি করতে পারছেন না, উটের বাচ্চারা খেলাধুলা করতে পারছে না। এমনই একজন হিরো আলমের সাহায্য চেয়ে বলেন, 'শুনেছি উনি নাকি মরুভূমি বানাতে পারেন। ওনাকে একটু দরকার। এই ক্যাম্পাসেই যদি আমাদেরকে একটা মরুভূমি বানায়া দেয়, বেশ উপকার হইতো। নইলে ওনার ব্যক্তিগত মরুভূমিটা কিছুদিনের জন্য ভাড়ায় দিলেও দিতে পারে।'

তবে রাজশাহীর মানুষ মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসা এই উটগুলোকে দেখতে পারছেন না বলে জানা যায়। এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে মরক্কো থেকে আসা একটা উট বলেন, 'দেখবে কই থেইকা! যেই গরম, আশেপাশে মরীচিকা ছাড়া আর কিছু নেই। আমরাও তো হেগোরে দেখি না। শুধু মরীচিকা দেখি।'

উট আসার খবর ছড়িয়ে পড়ার বাংলাদেশের গরু ব্যবসায়ীরা দলবল বেঁধে রাজশাহীর দিকে রওনা দিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এই কোরবানিতে গরুর ব্যবসা না করে উটের ব্যবসা করবেন বলে জানান তারা। এ খবর শুনে জনৈক উট বলে উঠে, 'আপনারা আগে আপনার দেশের উদ্ভট উটটাকে কোরবানি দেন, যেইটার উপর সবাই চড়ে বসে আছেন। এরপর আমাদের কাছে আসেন।'

৮৯৬ পঠিত ... ১৪:৪৪, এপ্রিল ২৭, ২০২১

Top