বাঙ্গি হেটার্সদের জন্য বাজারে আসছে 'বাঙ্গিভ্যাক্স'

৩২৮ পঠিত ... ১৭:৩৯, এপ্রিল ২০, ২০২১

bangivax

ঙ্গি একটি নিরীহ প্রজাতির উপকারী সুস্বাদু দেশি ফল। যুগের পর যুগ ধরে আমাদের পুষ্টি চাহিদা (বেশিরভাগই পানি যদিও) মেটানোর পাশাপাশি সন্তানকে খাওয়ানোর জন্য মা-বাবার পছন্দের তালিকায় একদম শুরুর দিকেই এর অবস্থান। কিন্তু কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষ হিংসার বশবর্তী হয়ে দিনের পর দিনের বাঙ্গি নামক এই রূপসী ফলকে ঘৃণাজ্ঞান করে আসছে। এই সকল হেটার্সের জন্য বাজারে এসেছে 'বাঙ্গিভ্যাক্স' নামক ভ্যাকসিন। এই ভ্যাকসিনের দুই ডোজ নেয়ার সাথে সাথে ব্যক্তির মাঝে বাঙ্গি প্রেম জেগে উঠবে।

ভ্যাকসিনটি তৈরি করেছেন বাংলাদেশি কিছু বিজ্ঞানী। কয়েক সন্তানের বাবা-মা তারা। দিনের পর দিন তাদের সন্তানকে বাঙ্গি খাওয়াতে না পেরে গবেষণায় নামেন তারা। এরপর তারা আবিষ্কার করেন 'কুলনেস' নামের এক ভাইরাস। এই ভাইরাসের প্রভাবেই একটি নির্দিষ্ট বয়স পর্যন্ত সবাই বাঙ্গিকে ঘৃণা করে থাকে। গবেষকরা বলেন, 'ছোটবেলায় আমাদেরকেও বাবা-বাঙ্গি খাওয়াতে পারতো না। অথচ কী আশ্চর্য, বড় হয়ে এই আমরাই অনেক মজা করে বাঙ্গি খাই। কিন্তু সন্তানদের খাওয়াতে পারি না। এর জন্য দায়ী একটি ভাইরাস। সাধারণত ১৫ থেকে ৩০ বছর বয়সী যুবক-যুবতীরাই এতে আক্রান্ত হয়। খুব চিন্তার কিছু নেই, আমাদের বানানো এই ভ্যাক্সিন অনেক কার্যকরী।'

একটু নস্টালজিক হয়ে এই গবেষক বলেন, 'ছোটবেলায় আমাদের মুখে বাঙ্গি ঠেসে ধরতো বাবা-মায়েরা। আমরা কিছুতেই খেতে চাইতাম না। বাবা-মা বলতো, 'যখন আমাদের মত বাবা-মা হবি তখন বুঝবি বাঙ্গি মর্ম। হ্যাঁ, এখন আমরা আসলেই বুঝতে পারছি। বাঙ্গি শুধু একটা ফল না, এটি হাজার বছরের বাঙ্গালির সংস্কৃতির ঐতিহ্যের অংশ।'

এই ভ্যাকসিনের বিশেষ কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। গবেষকরা বলেছেন, 'ভ্যাকসিন নেয়ার ফলে প্রথম প্রথম ছালবাকল, বিচিসমেত বাঙ্গি খেতে চাইতে পারে কেউ কেউ। ছালবাকল, বিচিসহ কাঁঠালের প্রতিও আগ্রহ বেড়ে যেতে পারে। তখন তাকে হাত-পা বেঁধে বিছানায় ফেলে রাখতে হবে। কিন্তু ভ্যাকসিন নেওয়ার সময় ছবি তুলে ফেসবুকে দিলে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেবে না।'

৩২৮ পঠিত ... ১৭:৩৯, এপ্রিল ২০, ২০২১

Top