অত্যন্ত হৃদয়বিদারক এই ঘটনাটি নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জের বজরাবাজারের। বজরাবাজারের নোমান নামের এক প্রেমিক তার প্রেমিকার উপর সেহেরিতে জাগিয়ে না দেয়ার অভিযোগ তুলে ব্রেকাপ করেছেন। জানা যায়, দুনিয়ার সব কাজের কাজী, নোমানের একটাই সমস্যা। সে সেহেরির সময় ঘুম থেকে উঠতে পারে না। এলার্ম, সাউন্ডবক্স কিংবা হুজুরের মাইক কোন কিছুই নোমানকে জাগাতে পারে না। কেবল নোমানের গার্লফ্রেন্ড রোকেয়া ইনবক্সে 'বাবু জেগে উঠো, সেহেরির সময় হয়েছে' বললেই নোমান অদৃশ্য এক জাগরণী শক্তিতে জেগে উঠে।
সেদিন রাতে রোকেয়াকে বেশ কয়েকবার বললেও রোকেয়া নোমানকে জাগিয়ে দেয়নি। এ ঘটনার জের ধরেই মনের সাথে দীর্ঘ ৩ মিনিট ৫২ সেকেন্ড যুদ্ধের পর এমন কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয় নোমান।
ব্রেকাপের কষ্টে শাকিব খানের মত হাউমাউ করে কাঁদতে কাঁদতে নোমান জানায়, 'একটা সম্পর্ক টিকে থাকে কমিটমেন্টের উপর ভিত্তি করে। কমিটমেন্ট না থাকলে সে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার কোন মানে হয় না। রোকেয়া আমাকে জাগিয়ে দেয়ার কমিটমেন্ট দিয়েও জাগায়নি। সে কমিটমেন্ট ভঙ্গ করেছে। আমাদের সম্পর্ক এই কমিটমেন্টের সাথে সাথেই ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গিয়েছে।'
এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করলেও নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছে রোকেয়া। রোকেয়া জানায়, 'আমার জাস্ট ফ্রেন্ড কাবিলার দায়িত্ব ছিলো আমাকে জাগিয়ে দেয়ার। এরপর আমি নোমানকে জাগাবো ভেবেছিলাম। এদিকে কাবিলাকে তার জাস্ট ফ্রেন্ড হোসনেয়ারা জাগায়নি বলে কাবিলাও আমাকে জাগাতে পারেনি। এখানে আমার বা কাবিলার কোন দোষ নাই। সব দোষ হোসনেয়ারার। নোমান ব্রেকাপ করলে হোসনেয়ারার সাথে করুক। আমার সাথে কেন করবে? ফাইজলামি নাকি!'