গত রোববার ঢাকা-১৪ আসনের দলীয় সাংসদ আসলামুল হক রাজধানীর একটি হাসপাতালে মারা যান। মৃত্যুকালে তিনি কী পরিমাণ স্থাবর-স্থাবর সম্পত্তি রেখে গেছেন তা জানা না গেলেও জানা যায়, তিনি ৩ হাজার কোটি টাকার ঋণ রেখে গেছেন। বিভিন্ন ব্যবসার পাশাপাশি বেসরকারিভাবে ৩টি রেন্টাল বিদ্যুতকেন্দ্র নির্মাণের নামে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে থাকেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১০৮ মেঘাওয়াটের একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র ছাড়া আর কোনটিই উৎপাদনে যেতে পারেনি। খবর: বণিকবার্তা।
এমন অভিনব উপায়ে নিজের নাম রৌশন করার কৌশলে আসলামুল হকের প্রতি অনেকে নিজেদের মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন। এমনই একজন বলেন, ‘কোথায় যেন পড়েছি, যার কাছে টাকা পায় তাকে নাকি মানুষ কখনো ভুলে না। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর পক্ষে আর কখনোই আসলামুল হককে ভুলে যাওয়া সম্ভব নয়। মারা যাওয়ার পরও এই মহামানব ব্যাংকগুলোর স্মৃতির পটে বসে বসে মুচকি হাসবেন অনেক অনেক দিন।’
৩ হাজার কোটি টাকার ঋণের মধ্যে বেসরকারি ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে তিনি আড়াই হাজার কোটি টাকা ঋণ নেন। এখন কী করবে ন্যাশনাল ব্যাংক? মৃত ব্যক্তির সন্তানরা যেমন রেখে যাওয়া সম্পত্তি নিজেদের বুকে আগলে রাখেন সেভাবে এই ঋণ কি তারা বুকে আগলে রাখবেন? নাকি মৃত ব্যক্তিকে ঋণ মওকুফ করে দেয়ার চিরচারিত পথে হাঁটবেন তারা? এ বিষয়ে কোন কিছু জানা না গেলেও আসলামুল হকের উত্তরাধিকারী পরিচয়ে এক লোক ভূয়া ফেসবুক আইডি থেকে ন্যাশনাল ব্যাংকের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমার বাপ তো একটা ঋণ নিয়া মইরা গেছে, এখন এই ঋণ শোধ করতে আমি কি আরও ঋণ পামু?’