এই গা পোড়া গরমে একটু শীতল ও আরামদায়ক অনুভূতি দিতে প্রেমিক-প্রেমিকার ফুঁ এসির চেয়েও বেশি কার্যকরি বলে জানিয়েছে একটি ভূয়া গবেষণা সংস্থা। দক্ষিণ এশিয়ার ৫০ লাখ প্রেমিক-প্রেমিকার ফুঁ এর উপর গবেষণা চালিয়ে এমন ফলাফলের কথা জানান তারা।
গবেষণাটিতে বলে হয়, এসির বাতাসে যা থাকে সবই মূলত ঝড় পদার্থ ও ফিজিক্সের কারসাজি। অপরদিকে প্রেমিক-প্রেমিকার ফুঁ-তে সম্পূর্ণ ন্যাচারাল ঠান্ডা বাতাসের পাশাপাশি বিশ্বাস, ভরসা ও ভালোবাসা মিলে একটা বরফ শীতল অনুভূতি তৈরি করে। যা সৌদি আরবের মরুভূমির গরমকেও কাবু করে ফেলে সহজেই।
ঘটনার সত্যরা স্বীকার করেছে দক্ষিণ এশিয়ার বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের প্রেমিক-প্রেমিকারা। এমনই একজন বলেন, 'ওঁর ফুঁ তো ফুঁ না, যেন বাতাসে বরফ কুঁচি। মন, শরীর সব ঠান্ডা করে এক নিমিষে। কোন ইলেক্ট্রিক বিলও লাগে না। প্রেম করার পর থেকে আমাদের বাসায় এসি লাগে না। আমি ওঁর কাছ থেকে ফুঁ কালেকশন করে বাড়ির অন্যান্য রুমে ছড়িয়ে দেই।'
এক বাংলাদেশি যুগলও এমন গবেষণার সত্যতার পক্ষে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন। তারা জানান, 'গবেষণা তো হয়েছে আজ, আমরা প্রেমের শুরু থেকেই জানি। প্রেমিক-প্রেমিকার ফুঁর সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হচ্ছে, এই ফুঁ এসির বাতাস মোবাইলের মাধ্যমে ট্রান্সফার করা যায়। ও ফুঁ দেই, আমি ফোন লাউড স্পিকারে দিলে এক ফুঁতে ঘর ২৪ ঘন্টার জন্য ঠান্ডা।'
গবেষকরা বলছেন, দীর্ঘ সময়ের বিবর্তনের ফল নতুন প্রাকৃতিক উদ্ভাবন। প্রেমিক-প্রেমিকার চুমু সকল রোগের মহৌষধ অনেক আগে থেকেই। ধীরে ধীরে নিজেদের শক্তি বাড়িয়ে বিবর্তিত হতে হতে আজ তারা এসির কাজও করছে। প্রেম যতদিন আগে সভ্যতার আগানো নিয়ে আর কোন চিন্তা নেই। আমাদের সকল ধরণের সমস্যার সমাধান এই প্রেমেই।