মিরপুরে থাকতে চায় না মশারা, পূর্বাচলে আলাদা মশাসিটি গড়ে দেয়ার দাবি

২৯৭ পঠিত ... ১৯:৩৯, মার্চ ১৬, ২০২১

মিরপুরকে মশাদের বসবাসের অযোগ্য ঘোষণা করেছে মশাদের একটি নগর গবেষক দল। নাগরিক সুবিধা, ঝুঁকিহীন জীবনযাপন, খাদ্যের সহজলভ্যতা, চিত্তবিনোদনসহ পাঁচটি মশক মানদন্ডে করা এই গবেষণায় মিরপুরের অবস্থান ১৯৩ তম।

mosha city

গবেষণা প্রবন্ধটিতে বলা হয়, ‘এখানে মশাদের জন্য নাগরিক সুবিধা নেই বললেই চলে। জীবনযাপনের জন্য খাদ্য সংগ্রহে রয়েছে মৃত্যুঝুঁকি। খাদ্যের সহজলভ্যতা তো একেবারেই। মশারি নামক দরজা জানালাবিহীন একটি ঘরে খাবার রাখা হয়। জেমস বন্ড প্রজাতির মশা ছাড়া বাকিরা সেখানে ঢুকতে পারে না।'

মশাদের জীবনয়াপনের এই জটিলতা নিয়ে কথা হয় মিরপুরে অবস্থানরত এক মশার সাথে। তিনি জানান, ‘এখানকার মানুষ ঘুমায় না। সারাক্ষণ হাত পা নাড়াচাড়া করে। শান্তিতে খাবার সংগ্রহ করতে পারি না। আমাদের কথা বিবেচনা করে মেয়র সাহেব মশারি না টাঙানোর গুজব ছড়ালেও সঠিকভাবে কেউই এই নির্দেশনা মানছে না। এমন একটা নগরীতে কীভাবে থাকবো আমরা?’

চিত্তবিনোদনের অভাবের কথাও জানান এক তরুণ মশা। তিনি বলেন, ‘সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে ফগার মেশিন মারফত আমাদের জন্য যে নেশাদ্রব্য সরবরাহ করা হয়, মিরপুরের ধুলাবালির সাথে মিশে সেগুলোর মান ও কার্যকারিতা কমে যায়। ঠিকঠাক ফিল নিতে পারি না।'

এমন শহরে থেকে মুক্তি চান নতুন প্রজন্মের মশারা। এই শহর নির্বোধ মানুষদের জন্য, এমন নিম্নমানের শহরে মশারা থাকবে না-এমন উল্লেখ করে পূর্বাচলে মশাসিটি গড়ে দেয়ার দাবি তোলেন তারা। প্রতিবাদি কন্ঠস্বরে একদল মশা বলে, ‘আমাদের বাপ-দাদাদের ভুজুঙ ভাজুং বুঝিয়েছেন। আমাদেরকে পারবেন না। আমরা নতুন প্রজন্ম, অধিকার বুঝে নিবোই।‘

মেয়রদের উদ্দেশ করে এক মশা বলেন, 'প্রতিবছর আমাদের কথা বলে ভোট চান, এখন আমাদের প্রাপ্য আমাদের বুঝিয়ে দিবেন না?’

মেয়রদের উপর দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ এনে এক মশা বলেন, 'শুধু ফগার মেশিনে ভেজাল নেশাদ্রব্য দিলেই তো আপনাদের দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না।'

২৯৭ পঠিত ... ১৯:৩৯, মার্চ ১৬, ২০২১

Top