বিশ্ব কিডনি দিবসে কিডনির সমস্যায় ভোগা রোগীদের জন্য দারুণ এক সুখবর নিয়ে আসলো ম্যাকবুক ও আইফোনের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাপল। পুরো দক্ষিণ এশিয়ার আইফোন ইউজার ও আইফোন ইউজার হওয়ার স্বপ্ন দেখা মানুষদের কথা মাথায় রেখেই অ্যাপল নিয়েছে কিডনি হাসপাতাল গড়ে তোলার উদ্যোগ। এটি দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের মানুষদের জন্য আইফোনকে আরো সহজলভ্য ও ইউজার ফ্রেন্ডলি করে তুলবে।
গত এক দশক ধরে আইফোন ও কিডনি একে অন্যের পরিপূরক হয়ে উঠেছে (আক্ষরিক অর্থেই)। ফলে দক্ষিণ এশিয়ার পাশাপাশি সারা বিশ্বের মানুষের কিডনির যত্নে অ্যাপলকেই এগিয়ে আসতে হতো। এই উদ্যোগের ফলে আইফোন কেনার জন্য কিডনি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়ে আর কাউকে অনিশ্চয়তায় ভুগতে হবে না।
‘এবার স্বপ্নপূরণ হবেই’ এমনটা উল্লেখ করে অ্যাপলের এক কর্মকর্তা জানান, ‘গত এক দশক ধরেই আমরা আইফোনকে ইউজার ফ্রেন্ডলি ও সহজলভ্য করার বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছি। সেই চেষ্টারই বহিঃপ্রকাশ এই উদ্যোগ। কিডনি নিয়ে ভেবে ফোন চালানোতে যেন ব্যাঘাত না ঘটে। কিডনির দায়িত্ব আমাদের। আপনারা নিশ্চিন্তে ফোন চালাবেন, আমরা ডায়ালাইসিস চালাবো।’
ইতোমধ্যে যারা কিডনি বিক্রি করে আইফোন কিনেছেন তাদের জন্য চিকিৎসা একদম ফ্রি বলে জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা। পাশাপাশি দুটো কিডনি ছাড়াই কীভাবে বাঁচা যায় সে বিষয়ে গবেষণা কার্যক্রম চালাবে প্রতিষ্ঠানটি।
এমন খবরে আইফোনের স্বপ্নে বিভোর এক তরুণ জানতে চান, ‘হাসপাতালে কি সেলস সেন্টার থাকবে? কিডনি বিক্রি করবো, টাকা নিবো, তারপর ফোন- এত সময় অপেক্ষা করতে পারবো না। হাসপাতালে সেলস সেন্টার থাকলে এক হাতে কিডনি দিবো অন্যহাতে ফোন নিবো।’
এই তরুণকে আশ্বস্ত করে অ্যাপলের কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের ভাবনা আরো বিস্তৃত। ভবিষ্যতে আইফোন দ্বারা কীভাবে কিডনিকে প্রতিস্থাপন করা যায় সে দিকেই হাঁটছি আমরা। কিডনিই আর থাকবে না, সবখানে আইফোন থাকবে।’