মিরপুরে বাণিজ্যিকভাবে চলছে মশার চাষ: একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন

৪২৭ পঠিত ... ১৯:৫৬, মার্চ ০৯, ২০২১

mosquito chash

সকল ইতিহাস ঐতিহ্যকে ছাপিয়ে ৪০০ বছরের সমৃদ্ধ নগরী ঢাকায় এখন মশার রাজত্ব। এই শহর এখন মশার শহর হিসেবেই বেশি পরিচিত। দুই মেয়র প্রাণপণ চেষ্টা করেও মশাদের হাত থেকে শহরকে মুক্ত করতে পারছেন না।

কিন্তু পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন, উন্নত বর্জ্য-ব্যবস্থাপনায় সমৃদ্ধ পরিকল্পিত এই আধুনিক শহরে এত মশা কোথা থেকে আসে? eআরকি অনুসন্ধানী সাঙবাদিকদের অভিযানে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায়, ঢাকার মিরপুরে বাণিজ্যিকভাবে মশা চাষ করছেন এক অসাধু ব্যবসায়ী। গত কয়েক বছর ধরে ঢাকা শহরের সিংহ ভাগ মশার যোগানের পেছনে হাত রয়েছে তার। অথচ এই অসাধু কর্মকান্ডের জন্য সমালোচনার শিকার হচ্ছে ঢাকার মেয়রদ্বয়। 

eআরকির অনুসন্ধানী প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর এর সত্যতা জানিয়েছেন মিরপুরের বাসিন্দারা। তারা জানান, প্রতিরাতে মিরপুর কালশী সমুদ্রবন্দর থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে মশা ঢুকতো শহরে। এতদিন কোন কুলকিনারা না পেলেও এই অনুসন্ধানে তাদের ভুল ভেঙ্গেছে। eআরকিকে ধন্যবাদ দিয়ে মেয়রদ্বয়ের প্রতি অনুতাপ প্রকাশ করেছে মেয়র ফ্যান ক্লাব। মেয়র ফ্যান ক্লাবের সভাপতি বলেন, ‘আগেই বলেছিলাম মেয়রদের কোন দোষ নেই। তাদের প্রতি সবসময় আমাদের পূর্ণ আস্থা ছিলো। সেজন্য কিছু না বলে দাঁতে দাঁত চেপে কষ্ট করে মশার কামড় খেয়ে এসেছি। জানতাম, একদিন সব ষড়যন্ত্রের জাল খুলে যাবে। ঢাকা থেকে মশা তাড়ানোর নিমিত্তে তারা প্রতিদিনই গ্ল্যাডিয়েটরদের মত কাঁধে ফগার মেশিন নিয়ে যুদ্ধে নেমে যেতেন। হুদাই মানুষ এতদিন কর্মতৎপর মেয়রদেরকে দোষ দিয়ে এসেছে।’

মশা চাষি এই কৃষক বিএনপির লোকজনের বংশধর বলেও অভিযোগ করেছে অনেকে। মেয়র ফ্যান ক্লাবের সাইবার সেলের এক সিনিয়র সদস্য কর্তৃক জানা যায়, এই কৃষকের পরদাদার টাইটেল ছিলো 'জিয়া'। তার দাদার ৩ দিনের বগুড়া ভ্রমণের তথ্য দিয়ে বিএনপি সংশ্লিষ্টতা নিশ্চিত করেছেন এই সাইবার যোদ্ধা। তিনি আরো জানান, ‘এই কৃষকের বাবা একাধিকবার খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসতেন। কৃষকের ছেলের বিরুদ্ধে রয়েছে তারেক জিয়ার ছবিতে লাভ রিএ্যাক্ট দেয়ার অভিযোগ।’

মশা দিয়ে দেশের মানুষের ক্ষতি করার পাশাপাশি ঢাকা শহরের সব সমস্যার পেছনে কলকাঠি নাড়ার অভিযোগও আনা হয় এই কৃষকের বিরুদ্ধে। প্রতিবেদনের তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় নিজেদের ফেক আইডি থেকে মেয়রদ্বয় জানান, ‘এই খামারের কারণেই শহরে জ্যাম, জলাবদ্ধতার অবসান হয় না। মশার পরিচর্যার জন্য এই অসাধু বিএনপি লোকটি শহরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করে। নদী দখল থেকে ফুটপাত দখল-সবকিছুতেই এই মশারা দায়ী। সেজন্য দখলকারীদের আমরা খুঁজে পাই না। যখনই আমরা খুঁজতে যাই তখনই তারা খামারে চলে যায়।’ 

এই মশক খামারটি ধ্বংস করার বিষয়ে নিজেদের শক্ত অবস্থানের কথা জানিয়েছেন ঢাকার মেয়ররা। নিজেদের একটি যৌথ ফেক আইডি থেকে ‘কাটা দিয়ে কাটা তোলা’ এক ফর্মুলার কথা জানিয়ে তারা বলেন, ‘মশা খামারটি মালিকানা পরিবর্তন করে এর দায়িত্ব পিকে হালদারকে দিয়ে দিবো। এরপর দেখবো এই মশার খামার কীভাবে টিকে থাকে।’     

৪২৭ পঠিত ... ১৯:৫৬, মার্চ ০৯, ২০২১

Top