ওয়াসার গর্ত সংস্কৃতি আন্তর্জাতিক পরিমন্ডল ছাড়িয়ে পৌঁছে গেছে মহাকাশ পরিমন্ডলেও। মঙ্গলগ্রহে অনুসন্ধান চালানো নাসার কিউরিসিটি রোভার মঙ্গলে একটি গর্ত খোঁড়ার মাধ্যমে ওয়াসার এই গৌরবময় ঐতিহ্যকে মহাকাশে পৌঁছে দিয়েছে।
ওয়াসাসহ বাংলাদেশের অন্যান্য 'উন্নয়নমুখী' সংস্থার কর্মতৎপরতার প্রতি সম্মান জানাতেই গর্তটি করে নাসা। নিজেদের একটি ফেক প্রোফাইল থেকে তারা জানান, 'মহাকাশ নিয়ে আমরা নিরলস কাজ করছি। পৃথিবীতে এমন নিরলস গর্ত খুঁড়ে যাচ্ছে ওয়াসা। ওয়াসার কাজের প্রতি সম্মান ও নিজেদের কর্মস্পৃহা বাড়াতেই আমরা গর্ত খুঁড়েছি।'
যদিও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নাসার এক কর্মকর্তা বলছেন ভিন্ন কথা। ভয় থেকেই এমনটা করেছেন বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, 'মঙ্গলে দ্রুতই রাস্তা বানানোর পরিকল্পনা আছে আমাদের। রাস্তা বানানোর পরই যেন ওয়াসা গিয়ে সেখানে খোঁড়াখুঁড়ি করে রাস্তা নষ্ট করতে না পারে সেজন্য আমরা আগেই গর্ত খুঁড়ে রাখছি। ওরা আসলে যেন বলতে পারি, ভাই গর্ত খোঁড়া আছে, আপনাদের কষ্ট করতে হবে না।'
এদিকে নাসার এমন তথ্যে আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম ওয়াসা কার্যালয়ে। মহাকাশ স্বীকৃতি পেয়ে যারপরনাই খুশি তারা। মিষ্টি বিতরণ করতে করতে ওয়াসায় কাজ না করা একজন বলেন, 'গর্ত খোঁড়া যে সভ্যতা বিনির্মাণের পূর্বশর্ত এতদিনে বিশ্ববাসী তা বুঝতে পারছে। এই খুশিতে মিষ্টি খেয়েই আমরা নতুন রাস্তা খুঁজে সেখানে গর্ত খুঁড়তে যাচ্ছি।'
খুশি হয়েছেন ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খানও। একটি ফেক ফেসবুক আইডি থেকে তিনি বলেন, 'মঙ্গলগ্রহে গর্ত খোঁড়ার কাজটি নিজে থেকে তদারকি করতে যাই। সেই লক্ষ্যে মঙ্গলে সভ্যতা বিনির্মাণ শেষ হওয়া পর্যন্ত নিজেকে ছাড়া ওয়াসার এমডি পদে থেকে যেতে চাই। এমন বড় কাজে নিজেকে ছাড়া এমডি পদে বিকল্প কাউকে দেখছি না।'