ভ্যাকসিন কার্যক্রমের প্রথম পর্যায়ে ৪০ বছরের কম কোন সাধারণ জনগণকে ভ্যাকসিন দেয়া হবে না। পর্যায়ক্রমে বয়সের সীমা কমলেও ১৮ বছরের নিচে কেউই পাবে না এই ভ্যাকসিন। কর্তৃপক্ষের এমন নিয়মের কারণে জয়া আহসান ও পূর্ণিমার ভ্যাকসিন গ্রহণ নিয়ে দেখা দিয়েছে চরম অনিশ্চয়তা, ভক্তরা রয়েছেন চরম উৎকন্ঠায়।
উইকিপিডিয়া ও গুগলের তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, পূর্ণিমা ও জয়া দুজনের বয়সই চল্লিশের কাছাকাছি। ফলে প্রাথমিক পর্যায়ের ভ্যাকসিন না পেলেও পরবর্তী পর্যায়ে ভ্যাকসিন পেতে তাদের খুব একটা সমস্যা হওয়ার কথা না। কিন্তু এমন যুক্তি মানতে নারাজ দুজনের ভক্তরা। গত ২০ বছর যাবত বয়সকে আটকে রাখা দুই অভিনেত্রীর বয়স কখনোই ১৮ হতে পারবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন জয়া ও পূর্ণিমা ফ্যান ক্লাব।
'জয়ার ভ্যাকসিন নেয়ার সাথে ভক্তদের আবেগ জড়িত' এমনটা জানিয়ে জয়ার এক ভক্ত বলেন, 'জয়া আহসান যদি ভ্যাকসিন গ্রহণ করে প্রমাণ করে উনি ১৮+ তাহলে আমরা কাকে নিয়ে বাঁচবো? কী খেয়ে, কার আশায় বাঁচবো? কার উপর ক্রাশ খাবো? আমাদের সারাজীবনটা মিথ্যা হয়ে যাবে। জয়ার ও নিজেদের এমন সর্বনাশ আমরা কোনভাবেই হতে দিতে পারি না। কখনোই না।'
নিজেদের পাশাপাশি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও দুশ্চিন্তায় আছেন অনেকে। পূর্ণিমার প্রথম প্রজন্মের এক ভক্ত বলেন, ' উনি আমাদের উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া পারিবারিক ক্রাশ। আমি পেয়েছি, আমার ছেলে, আমার নাতিও ওনাকে পেয়েছে। এখন যদি উনি আসলেই টিকা নিয়ে ফেলেন, তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আমরা কাকে রেখে যাবো? এমন একটা ফাঁকা পৃথিবী রেখে যাওয়ার জন্য ওরা কী কোনদিনও আমাদেরকে ক্ষমা করতে পারবে?'
জয়াকে ও পূর্ণিমাকে যে ভ্যাকসিন পুশ করবে তার উপর মানসিক চাপের কথাটাও ভেবে দেখার কথা জানান এক মনোবিধ। তিনি বলেন, 'তারা দুজনই দেশের ৩টা প্রজন্মের ক্রাশ। তাদের ব্যাথা লাগলে পুরো ১৬ কোটি মানুষের ব্যাথা অনুভূত হবে। তার উপর আছে স্বপ্ন, আশা ভেঙ্গে চুরমার করে দেয়ার চাপ। এত বিশাল চাপ নিয়ে কেউ জয়া-পূর্ণিমাকে ভ্যাকসিন দেয়ার সাহস করবে কি না সন্দেহ আছে। সাহস করে কেউ এই কাজ করে ফেললেও তার পরবর্তী জীবনে কেমন বিপর্যয় আসে তাওতো বলা যাচ্ছে না।'
বরিশালের এক ভক্ত বলেন, 'যে ভ্যাকসিন দিবে, সে যদি ওদের ফ্যান হয়। ওদেরকে ভ্যাকসিন নিতে দেইখা যদি শোকে ফিট খাইয়া পইরা যায়, তখন যদি সুঁই ভাইঙ্গা জয়া-পূর্ণিমার শরীরে থাইক্কা যায়, এর দায়ভার কে নিবে?'