আজ সকালে ‘আমির খানের ফোন বন্ধ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে প্রথম আলো। এমন প্রতিবেদন প্রকাশের পর আমির খানের খোঁজে কিরণ রাওয়ের কারওয়ান বাজার চলে আসার প্রেক্ষিতে eআরকির একদল চৌকশ ইনভেস্টিগেটর নেমে পড়ে আমির খানের খোঁজে।
প্রগতি ইন্সুরেন্স ভবনের আশেপাশে আমির খানকে গরু খোঁজা খোঁজার পরেও তাকে পাওয়া যায়নি। তারপর আমির খানের নানান সিনেমার বিভিন্ন লুকের ছবি নিয়ে ঢাকার পথেঘাটে খোঁজা হয় তাকে, যেন ছদ্মবেশে থাকলেও তাকে খুঁজে পাওয়া যায়। তাতেও মেলেনি কোনো খোঁজ।
চুড়ান্ত হতাশ দল আবার চাঙ্গা হয় দলের এক সিনিয়র সদস্যের তড়িৎ বুদ্ধিতে। ফোন ছিনতাই হওয়ার কারণেও ফোন বন্ধ থাকতে পারে, এই ক্লু ধরে আন্দাজে ঢিল ছুড়তে মোহাম্মদপুরে হাজির হয় ইনভেস্টিগেটর টিম। আতঙ্ক ও ভয় নিয়ে মোহাম্মদপুরের অলিগলিতে ঘুরতে থাকে তারা। অবশেষে খিলজি রোড়ের মুখে গায়ে পাটের বস্তা জড়ানো, কাঁধে একটি রেডিও নিয়ে উদ্বাস্তুর মত ঘুরতে দেখা যায় উদভ্রান্ত এক ব্যক্তিকে। আমির খান হতে পারে এমন সন্দেহে গোপন ক্যামেরা নিয়ে সেখানে হাজির হয় eআরকি টিম। দেখতে একেবারে পিকে সিনেমার নায়কের মতো ব্যক্তিটি যে কাঙ্ক্ষিত আমির খান, তা বুঝতে দেরি হয় না আমাদের গোয়েন্দা দলের।
আমির খানের সাথে কথা বললে তার অসংলগ্ন কথাবার্তা থেকে জানা যায়, ক্যারিয়ারে কোনো গ্যাংস্টার জনরার কাজ না থাকায় একটু থ্রিল নিতে মোহাম্মদপুর আসেন তিনি। এখান থেকে অভিজ্ঞতা নিয়ে অনুরাগ কেশ্যপের সাথে একটি মুভি করতে চেয়েছিলেন আমির। কিন্তু মোহাম্মদপুরে ঢোকার কয়েক মিনিটের মাথাতেই ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে ফোন হারান তিনি। দ্বিতীয় দফায় আরেক দল ছিনতাইকারী ফোন না পেয়ে আমিরের গায়ের জামা কেড়ে নেয়। এরপর শীত থেকে বাঁচতে ফুটপাত থেকে পাটের বস্তা জোগাড় করেন তিনি।
মোহাম্মদপুরে কি এরপরও গ্যাংস্টার সিনেমার শুটিং করতে চান? এই প্রশ্নে বিব্রত হতে মিস্টার পারফেকশনিস্ট বলেন, 'সিনেমা করলেও বডি ডাবল ইউজ করবো। কয়েকজন লোকাল স্টান্টম্যানও লাগবে। এলাকা বহুত খতরনাক হ্যায়।'
কাঁধে রেডিওর বিষয়ে জানতে চাইলে আমির বলেন, ‘ফোন হারিয়ে গেছে। সেজন্য সিগন্যালের আশায় রেডিও নিয়ে ঘুরছি।’
আমিরের খোঁজে কিরণ বাংলাদেশে চলে এসেছে এমন খবর দিলে আতঙ্কিত আমির বলেন, ‘ভাই আগে এক কেজি লবণ এনে দেন আমায়। ও আমাকে লবণ আনতে পাঠাইছে। লবণ না নিয়ে বাসায় ফিরতে পারুম না।’