আমি তো ভালা না, ভালা লইয়াই থাইকো: একটি ডকুমেন্টারি দেখে প্রতিক্রিয়ায় ক্রিস হেমসওয়ার্থ

২১৪০ পঠিত ... ১৮:২৮, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২১

extraction

টুইটারে নিজের ৫টি ফেক আইডির ৪ নাম্বারটা থেকে ‘আমি তো ভালা না ভালা লইয়াই থাইকো’ লিখে একটি টুইট করেছেন হলিউডের থর খ্যাত অভিনেতা ক্রিস হেমসওয়ার্থ। বাংলাতে লেখা এই টুইট নিয়ে মুহূর্তেই আলোচনা ছড়িয়ে পড়ে টুইটার জুড়ে।

এমন টুইটের পেছনের গল্প নিয়ে জানতে চাইলে ক্রিস জানান, ‘গত বছর নেটফ্লিক্স ‘এক্সট্রাকশন’ নামে একটি মুভি তৈরি করে, যাতে নায়কের ভুমিকায় অভিনয় করেছিলাম। এই মুভিতে উগান্ডিয়ান সেনাবাহিনীকে একজন ড্রাগ লর্ডের হয়ে কাজ করতে দেখে ক্ষোভে ফেঁটে পড়ে উগান্ডিয়ান জনগণ। সমালোচনার শিকার হয় মুভিটি। রিসেন্টলি একটি ডকুমেন্টারি দেখে ব্যাপারটা মনে পড়লো।’

ক্রিস আরও বলেন, ‘তখন আমি বলায় তাদের খারাপ লেগেছে। এখন তো সারাবিশ্ব বলতেছে। বুঝলেন ভাই, গরিবের কথা বাসি হইলে ফলে।’

ক্রিসের কথা বিশ্বাস না করে একজন বাংলাদেশি ‘পমান দাও’ লিখে রি-টুইট করলে ক্রিস একটি আন্তর্জাতিক মিডিয়ার ওয়েবসাইট ছুড়ে দিয়ে বলেন, ‘এই ল পমান’।

ওই লিংকে গিয়ে চিরুনি অভিযান চালিয়েও কোন পমান না পেলে ক্রিসকে অপপ্রচারকারী ও মিডিয়ার দালাল অপবাদ দেয় উগান্ডার হাজার হাজার জনগণ। উগান্ডার মোহাম্মদপুরবাসী এক সাইবার সৈনিক ক্রিসের বাবার এক ছবি দিয়ে বলেন, 'ক্রিস উজাকারপুত্র। তার বাপ উগান্ডা উজাকারের সাথী ছিলো। সে এখন উএনপি আমেরিকা শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পদক। এই ঘৃণ্য অপরাধীটি এখন উগান্ডাকে সারাবিশ্বের কাছে হেয় করার মিশনে নেমেছে।'

টুইটারে আনফ্রেন্ড অপশন না থাকায় ক্রিসকে আনফলো করার ডাক দেয় তারা।

মোহাম্মদপুরের এক বাসিন্দা ক্রিসকে হুমকি দিয়ে বলে, ‘পরেরবার আসিস উগান্ডায় শুটিং করতে। মোহাম্মদপুরবাসী তোকে সার্বিক সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছে।’

২১৪০ পঠিত ... ১৮:২৮, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২১

Top