মিশেল ফুকো ইংরেজি এলফাবেট চুরি করেছেন: দাবি করলেন ঢাবির অভিযুক্ত শিক্ষকদের এক ছাত্র

৮৬৫ পঠিত ... ১৯:৫৮, জানুয়ারি ২৯, ২০২১

গবেষণা নিবন্ধ নকলের অভিযোগে পদাবনতি পেয়েছেন ঢাবির তিন শিক্ষক সামিয়া রহমান, সৈয়দ মারজান হক ও মোহাম্মদ ওমর ফারুক। সামিয়া রহমান ও সৈয়দ মারজান হক ২০১৬ সালে যৌথভাবে ৮ পৃষ্টার একটি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশ করে। জানা যায়, নিবন্ধটিতে ফরাসি দার্শনিক মিশেল ফুকোর ১৯৮২ সালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিবন্ধ থেকে প্রায় ৫ পৃষ্ঠা হুবহু নকল করা হয়। খবর: প্রথম আলো।

michel fucho

এদিকে অভিযুক্ত তিন শিক্ষকের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্র মিশেল ফুকোর বিরুদ্ধেও চুরির অভিযোগ আনেন। তিনি বলেন, 'মানলাম, আমাদের প্রাণের শিক্ষকরা নকল করেছেন। কিন্তু যেই মিশেল ফুকোর নিবন্ধ নকল করার কথা উঠছে সেই ফুকো মিয়াও তো দুধে ধোয়া তুলসি পাতা না। সে যে ইংরেজি এলফাবেট ব্যবহার করে নিবন্ধ লিখেছে, সে এলফাবেট তার? সেগুলোও তো অন্য কারো। তার নিবন্ধটা আমি পড়ে দেখলাম, উনি তো নির্লজ্জভাবে ইংরেজি ২৬টি এলফাবেট একাধিকবার নকল করেছেন। এটা তো ভাই সমুদ্র চুরি'

ঢাবির শিক্ষকদের শাস্তির তীব্র বিরোধিতা করে টেবিলে দুটো থাপড় দিয়ে এই ছাত্র আরো বলেন, 'ফুকো মিয়া তো ফরাসি। হেয় লিখবে ফ্রেঞ্চ ভাষায়। লিখছে ইংরেজিতে। অন্য জাতির ভাষা চুরি করে। ফুকো মিয়াকে তো কিছু বলতে পারবেন না। পারবেন শুধু আমাদের শিক্ষকদের সাথে। হিপোক্রেট কোথাকার।'

'জগতের সকল গবেষণাই মূলত ধার করা' এমন এক দার্শনিক বাণী দিয়ে অন্য এক ছাত্র বলেন, 'আমাদের শিক্ষকরা ফুকোর নিবন্ধ চুরি থুক্কু ধার করেছে। ভবিষ্যতে ফুকো মিয়াও আমাদের শিক্ষকদের নিবন্ধ ধার করবে। হিসাব বরাবর। এটা নিয়েতো এত শাস্তি ফাস্তি হাউ কাউয়ের কিছু নাই।'

৮৬৫ পঠিত ... ১৯:৫৮, জানুয়ারি ২৯, ২০২১

Top