ধর্মীয় বিধি মোতাবেক নারীদের কাজী হওয়ার ক্ষেত্রে বেশ কিছু জটিলতার কথা উল্লেখ করে নারীরা কাজী হতে পারবেন না বলে রায় দিয়েছে হাইকোর্ট। তবে হাইকোর্টের এমন রায়ে কিছু ভেঙ্গে পড়ে ব্যথা পেয়ে ক্ষেপে গিয়েছেন 'কাজীদের কাজী' খ্যাত পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় কাজী- কাজী নজরুল ইসলাম।
নিজের নারী ফ্যানদের কথা উল্লেখ করে বেশ আশাহত নজরুল বলেন, 'যেসব মেয়েরা আমার কবিতাকে, আমাকে ধারণ করে, আদর্শ মনে করে কাজী হতে চায় তাদের স্বপ্নের পথে এত বড় বাধা আসলেই আমাকে আশাহত করেছে।'
হাইকোর্টের এমন রায় আসবে জানলে তিনি নামের আগে কাজীর পাশাপাশি শেষে হাজী, খান, মির্জা টাইপ কিছু একটা রাখতেন বলেও মন্তব্য করেন। বেশ আশাহত নজরুল বলেন, 'এখন এফিডেফিট করে নাম পাল্টাতে হবে। নামের শেষে খান বা হাজী লাগালে আমার আদর্শিক সৈনিকদের জন্য সুবিধা হবে।'
একটু উত্তেজিত ভঙ্গীতে তিনি আরও বলেন, 'আমি কোনোদিন পুরুষ-রমণী কোনো ভেদাভেদ করি নাই। এক শতাব্দী পরেও এইসব ভেদাভেদ কীভাবে থাকে বুঝতে পারি না।' এই পর্যায়ে নিজের লেখা 'সাম্যের গান' কবিতাটি তিনি নিজেই একবার বিড়বিড় করে আবৃত্তি করে আরও বিমর্ষ হয়ে যান।
'সাম্যের গান' কবিতাটি নতুন করে লেখার বিষয়েও চিন্তা ভাবনা আছে নজরুলের। হাইকোর্টের রায়ের প্রতি সম্মান রেখে তিনি কবিতাটির কিছু অংশ পরিবর্তন করে লেখেন, 'গাহি সাম্যের গান, যেখানে কখনো এক হবে না সব বাধা ব্যবধান।'
এই দুনিয়ায় আর আসল কাজের কাজী বলতে কেউ নেই, এমন মত প্রকাশ করে দীর্ঘশ্বাস ফেলে তিনি বলেন, 'কোথাও কোনো আসল কাজী দেখি না। সবই পাজি। দুনিয়াটা পাজিতে ভরে গেছে!'