বাংলা দ্বিতীয়পত্রের পাঠ্যসূচির উপর অশ্লীলতার অভিযোগ এনেছে মুরুব্বি সমাজ। অভিযোগের প্রেক্ষিতে অশ্লীলতা ছড়ানোর দায়ে লিঙ্গ অধ্যায়টি বাদ দেয়ার দাবিও তুলেছে তারা।
লিঙ্গকে অপবিত্র আখ্যা দিয়ে বলা হয়, 'পড়ালেখা একটি পবিত্র জিনিস। সেখানে লিঙ্গের মতো স্পর্শকাতর, নোংরা, অপবিত্র জিনিস নিয়ে কেন আলোচনা থাকবে?'
এছাড়া লিঙ্গ পরিবর্তনের মতো অশালীন জিনিসও বাংলা দ্বিতীয় পত্রে শিশুদের শেখানো হচ্ছে, অথচ ট্রান্স জেন্ডার বিষয়টাকে সমাজে স্বাভাবিকভাবে নেয়ার চল এখনো শুরু হয়নি।
এই ধরনের পড়ালেখার সিস্টেমকে যুব সমাজ অবক্ষয়ের জন্য দায়ী করে বলা হয়, 'ছোট থেকে এইসব লিঙ্গ-টিঙ্গ নিয়ে পড়ালেখা করে পোলাপান লিঙ্গের প্রতি আগ্রহী হয়ে পড়বে। এভাবে একসময় তারা জড়িয়ে পড়বে অসামাজিক কার্যকলাপে।'
কয়েকবার চোখ বন্ধ করে জিহ্বায় কামড় দিয়ে 'ছিঃ ছিঃ' উচ্চারণ করে অন্য একজন বলেন, 'লিঙ্গতো লিঙ্গ, এইসব বইয়ে দেখলাম পুরুষ লিঙ্গ, স্ত্রী লিঙ্গ নিয়েও আলোচনা আছে। তার উপর অনেক মহিলা পুরুষের নাম দেয়া আছে।'
এই প্রসঙ্গে নিজের একটি গবেষণাপত্রও প্রকাশ করেন বিশিষ্ট ভাষাবিজ্ঞানী ইব্রাহীমস্টাইম। তিনি বলেন, 'লিঙ্গ একটি সাংস্কৃতিক শব্দ। এইটার মূল বাংলা আপনারা অনেকেই জানেন না। আমি গবেষণা করে বের করেছি, এটি একটি খারাপ শব্দ।'
তিনি আরো বলেন, 'এই ধরণের জিনিস বইয়ে থাকা একটি বিরাট চক্রান্ত। এখানে মনোবিজ্ঞানের মারপ্যাঁচও আছে। এই ধরণের শব্দ নিউরনে উত্তেজনা তৈরি করে। এরপর তো জানেনই...'