প্রলোভন দেখিয়েছেন সাজেক নিয়ে যাবেন। দেখাবেন মেঘ, পাহাড় আর মানুষের ঢল। কিন্তু দিনশেষে বলদা গার্ডেনে ঘুরিয়েছেন প্রেমিকাকে। এমন এক অভিনব প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে পুরান ঢাকার বাসিন্দা হাসানের বিরুদ্ধে।
অভিযোগকৃত নারী রোকেয়া কাঁদো কাঁদো গলায় গলায় আরো বলেন, 'অভিযোগ খালি সাজেকের বদলে বলদা গার্ডেন লইয়া গেছে হেরলাইগা না। অভিযোগ আর্থিক প্রতারণারও। হালায় সাজেক যাবে কইয়া আমার কাছ থেইকা ৬০০০০ ট্যাকা লইছে। কইছে, ২০ হাজার ট্যুর কস্ট আর ৪০০০০ ডিএসএলআরের। সাজেক গিয়ে ছবি তোলার লাইগা...'
'এহন আমার সাজেকও নাই, ছবিও নাই' এমন এক আহাজারি তুলে বিলাপ করতে করতে রোকেয়া বলেন, 'ওর বি* আমি পুতা দিয়া ছেইচ্ছালামু।'
তবে অভিযোগ স্বীকার করলেও এটাকে অপরাধ বলতে নারাজ হাসান। আত্মপক্ষ সমর্থন করে হাসান বলেন, 'ওর বাসা থেইকা ওরে রাতে কোথাও থাকতে দিবে না। সকালে গিয়া বিকালে আহন লাগলে তো বলদা গার্ডেনই নিমু, সাজেক কি আর দিনে যাইয়া মাগরিবের আজানের আগে আহন যায় আপনারাই কন!'
হাসানের এমন কথায় আরো ক্ষেপে গিয়ে রোকেয়া বলেন, 'আব্বে হালায়, নিতে পারবি না তো প্রেমিক হইছস কিয়ের লাইগা!'
এদিকে হাছান আরও বলেন, 'বলদা গার্ডেনে লেক আছে, গাছ আছে, চোখ বড় করে দেখলে অতিশয় ক্ষুদ্র পাহাড়ও চোখে পড়বে, আকাশে মেঘ তো আছেই। এটারে মিনি সাজেক ভাবলেই হয়ে যায়। ছবি না হলে আমি সাজেকের মতো এডিট করে দিলাম।'
টাকা ফেরত দেয়ার প্রসঙ্গে হাসান বলেন, 'বিক্রিত মালামাল ও প্রলোভন ফিরিয়ে নেয়া হয় না।'