জেএসসি ও এসএসসির গ্রেডের গড় করতেই ৪০০ কোটি টাকা খরচ করেছে শিক্ষা বোর্ড?

৮৪৯ পঠিত ... ১৬:১৬, অক্টোবর ১১, ২০২০

 

এইচএসসি পরীক্ষার বদলে এবার জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার গ্রেডের গড়ের ভিত্তিতে উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল ঘোষণা করবে শিক্ষা বোর্ড। কিন্তু এইচএসসির রেজিস্ট্রেশনের সময়ই শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা পরিশোধ করেছেন পরীক্ষার ফি। বোর্ডের কাছে জমা পরীক্ষার ফি'র পরিমাণ ৪০০ কোটি টাকা! যেহেতু পরীক্ষা হচ্ছে না, সেই টাকা খরচ হওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই, অভিভাবক-শিক্ষার্থীদেরও টাকা ফেরত পাওয়া উচিত।

এদিকে শিক্ষা বোর্ড বলছে পাওনা টাকা ধার চাইলে বন্ধুরা যেমন কথা বলে, তেমনই কিছু। তাদের হাতে নাকি কোনো টাকাই নেই, সবই খরচ হয়ে গেছে।

এ ব্যাপারে আমরা প্রতিক্রিয়া জানতে চাই বিভিন্ন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীর কাছে। এক অভিভাবক মাথা চুলকে বলেন, 'জেএসসি আর এসএসসির রেজাল্টের গড় করতে এত টাকা খরচ হয়, জানতাম না। হয়তো বিদেশ থেকে অত্যাধুনিক ক্যালকুলেটর বা কম্পিউটার আনা হয়েছে, সেটায় খরচ হতে পারে। রেজাল্টের গড় করা শিখতে বিদেশে প্রশিক্ষণের জন্য হয়তো কর্মকর্তারাও গেছেন। অথবা কে জানে, হয়তো টাকা খরচ হয়ে গেছে বলেই পরীক্ষা নিলো না। টাকা না থাকলে পরীক্ষা কীভাবে নেবে বলেন?'

আরেকজন জানান, 'শিক্ষাবোর্ডের অফিসে হয়তো অনেক ইঁদুর। এক গল্পে পড়ছিলাম, ইঁদুর দাড়িপাল্লা খেয়ে ফেলতে পারে। টাকাও খেয়ে ফেলা বিচিত্র কিছু না।'

অন্য এক ফ্রাস্ট্রেটেড অভিভাবক উত্তেজিত হয়ে বলেন, 'সব দোষ আসলে টাকারই। টাকা জিনিসটাই এমন, রাখলেই খরচ হয়ে যায়।'

তবে উদ্ভাসে তুখোড় ব্যাচে চান্স পাওয়ার অপেক্ষায় থাকা এক শিক্ষার্থীকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে বলেন, 'পরীক্ষা না হওয়ার ফি ৪০০ কোটি টাকা হলে, পরীক্ষার ফি কত? ঐকিক নিয়মে বাহির করো।'

৮৪৯ পঠিত ... ১৬:১৬, অক্টোবর ১১, ২০২০

Top