সিলেট জেলার ছাত্রলীগের এক কর্মী মফিজ। হুট করে পরিবারের লোকজন দেখেন, সারারাত চার হাতপায়ে দাঁড়িয়ে ঘুমাচ্ছেন তিনি। দাঁড়িয়েই তো ঘুমাবেন, তিনি যে ঘোড়া হয়ে গেছেন!
ঢাকার নামকরা এক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ কর্মী জোবায়েরের অবস্থা আরো ভয়াবহ। সকালে নাস্তা করার পরিবর্তে উঠানে ঘাস খাওয়া শুরু করেন তিনি।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ছাত্রলীগ কর্মীদের মাঝে এমন অদ্ভূত আচরণ লক্ষ করা গেছে। জানা যায়, বিভিন্ন অপরাধ করা ছাত্রলীগের ভাইয়েদের পাশে দাঁড়াতে দাঁড়াতে ছাত্রলীগের বেশিরভাগ কর্মীই ঘোড়া হয়ে যাচ্ছে।
এমন ঘটনাকে বিবর্তন বিদ্যায় এক গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন বলে মত দিয়েছেন বিবর্তনবীদ চার্লস ডারউইন। তিনি বলেন, 'এইটা হওয়ারই ছিলো। ছাত্রলীগের ছেলেদের তো ২৪ ঘন্টাই কোন না কোন ভাইয়ের পাশে দাঁড়াতে হয়। বরং ছাত্রলীগের বিবর্তন দেরিতেই হইছে। তাদের আরো আগেই ঘোড়া হয়ে যাওয়ার কথা।'
ধর্ষকের পাশে দাঁড়াতে দাঁড়াতে ঘোড়া হয়ে যাওয়া এই সংকর জাতের সহমত ভাই ঘোড়ার আবির্ভাবে কিছুটা বিরক্ত হয়েছে স্বাভাবিক ঘোড়া সমাজ। ধর্ষকের পাশে দাঁড়ানো এইসব সহমত ঘোড়াকে নিজেদের জাতভাই বলে মেনে নিবে না বলে জানিয়েছে তারা। চার্লস ডারউইনের অনুরোধেও নিজেদের অবস্থান থেকে না নড়ার ঘোষণা দেয়া এই ঘোড়ারা চার্লস ডারউইনের বিবর্তনবাদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করার সিদ্ধান্তও নিয়েছে।
অবশ্য সহমত ভাই ঘোড়াদের ডাক 'চিহিহিহি' এর পরিবর্তে 'সহমত ভাই' হওয়ায় কিছুটা হলেও স্বস্তিতে আছে স্বাভাবিক ঘোড়া সমাজ।
এদিকে কিছু কিছু বখাটে শ্রেণীর ঘোড়ারা বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছে। এমনই এক বখাটে ঘোড়া একটি মেয়ে ঘোড়াকে 'চিহি' বলে ইভটিজিং করার পর eআরকিকে বলেন, 'ভালোই হলো! ইভটিজিংসহ নানাবিধ আকাম করার পর পাশে দাঁড়ানোর লোক পাইলাম'
মানুষ থেকে ঘোড়া হয়ে যাওয়ায় কিছুটা খুশীই দেখা গেছে সহমত ভাইদের। বিষয়টিকে ইতিবাচক ভাবে নিয়ে তারা বলেন, সারাবছরই তো কারো না কারো আকামের পাশে দাঁড়াতেই হয়। বসার সুযোগ পাই না। পা ব্যথা করে। ঘোড়া হয়ে যাওয়ায় এবার আর পা ব্যথা করবেনা। ঘুমের সময়ও ভাইদের পাশে দাঁড়াতে পারবো।'
