কলকাতার গড়িয়াহাটে সুবীর চ্যাটার্জীর কেনা আস্ত ইলিশ দেখতে এলাকাবাসীর ভীড়

১৪৭৯২ পঠিত ... ১৬:৫৭, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২০

কলকাতার গড়িয়াহাটে সুবীর চ্যাটার্জী ৭১২ গ্রাম ওজনের বিরাট এক আস্ত ইলিশ কিনেছে। তা দেখে চোখ জুড়াতে লাখ লাখ মানুষ ভীড় করেছে সুবীর চ্যাটার্জীর বাড়িতে।

লাখ লাখ দর্শনার্থীর মাঝে তপন সূত্রধর এসেছেন নাতি, নাতনি, বউ, বাচ্চাদের নিয়ে। ভীড় ঠেলে সুবীর বাবুর বাড়ির দিকে আগাতে আগাতেই কথা হয় তপন বাবুর সাথে। তিনি বলেন, 'ইলিশ যে আস্ত মাছ হয় তাইতো জানতাম না! বড় বড় গ্লাস করা দোকানের বাইরে থেকে কেবল এক-দুটো টুকরো দেখেছি। সেজন্য চলে এলাম। নাতি-নাতনিদেরও নিয়ে আসলাম, আবার কবে এমন মহাজাগতিক দৃশ্য দেখার সৌভাগ্য হয় ওদের তাতো বলা যায় না!'

সুবীর বাবুর বাড়িতেও বেশ উৎসব উৎসব একটা পরিবেশ। বাড়ির সবাই নতুন ধুতি পাঞ্জাবী পরেছে। মেয়েরা গোসল টোসল সেরে শাখা, সিঁধুর,আলতা নিয়ে ব্যস্ত। ঘরের মেঝেতেও সুন্দর করে আলপনা করা হয়েছে। ৭১২ গ্রাম ওজনের ইলিশ কেনার প্রয়াস সম্পর্কে জানতে চাই সুবীর বাবুর কাছে। ধুতি ঠিক করতে করতে তিনি বলেন, 'আমাদের পূর্বপুরুষরা জমিদার ছিলো। তাদের স্বপ্ন ছিলো, পুরো বাড়ির জন্য একটা আস্ত ইলিশ কিনে আনবে। কিন্তু নানান অভাব, অনটনে বাস্তবায়ন করতে পারেননি। আমরা অষ্টম প্রজন্ম, যারা পূর্বপুরুষদের এই অধরা স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছি।'

৭১২ গ্রামের একটা আস্ত ইলিশ একা কিনে ফেলার অনুপ্রেরণা ও সাহস সম্পর্কে জানতে চাইলে জিহ্বায় কামড় দিয়ে সুবীর বাবু বলেন, 'একা কিনিনি তো! আমাদের আট প্রজন্মের সবাই মিলে কিনেছি। প্যারিয়া, ইতালি, স্পেন, আমেরিকা, ইংল্যান্ডে থাকে অনেকে। সেখান থেকে সবাই টাকা পাঠানো ও মত দেয়ার পরেই কিনেছি।'

ইলিশ কেনা উপলক্ষ্যে ইউরোপ আমেরিকা থেকে বংশের অনেকেই দেশে এসেছেন বলেও জানান তিনি।

'জমিদারি চলে গেলেও, জমিদারি স্বভাব এখনো রক্তে রয়ে গেছে' এমনটা জানিয়ে সুবীর বাবু বলেন, 'এলাকার সবার জন্য ইলিশ ধোয়া পানির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। বোতল নিয়ে আসলেই পরিবার প্রতি ৫ ছিপি করে পানি দেয়া হবে' আমরা বাংলাদেশ থেকে এসেছি শুনে আমাদেরকে এক ছিপি পানি বাড়িয়ে নেয়ারও অনুরোধ করেন তিনি।

১৪৭৯২ পঠিত ... ১৬:৫৭, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২০

Top