ঘুষের ক্ষেত্রেও ১০০% ক্যাশব্যাক অফার দিলেন নারায়ণগঞ্জের এসআই

৫৬৬ পঠিত ... ১৩:৩৮, আগস্ট ২৭, ২০২০

কিশোরী নিখোঁজ ঘটনায় পেশাদারিত্বের সাথে তিনজনকে গ্রেফতার করেন নারায়ণগঞ্জের এসআই শামিম আবদুল্লাহ। রিমান্ডে তিনজন স্বীকার করে, তারা কিশোরীকে ধর্ষণের পর মেরে শীতলক্ষ্যায় ফেলে দেয়। কিছুদিন পর মরে যাওয়া কিশোরী ফিরে আসে। জানা যায়, সে প্রেমিকের সাথে পালিয়েছিলো। সেই সাথে জানা যায় এসআই শামিমের এক কীর্তির কথা। এর আগে, তিন আসামীকে গ্রেফতারের পর ছেড়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৪৭ হাজার টাকা ঘুষও নেন এসআই শামিম আবদুল্লাহ।

এসআই শামিমের পেশাদারিত্বের গল্পটা এখানেই শেষ হয়ে গেলে হয়তো ওনার সততার গল্পটি আমরা জানতে পারতাম না। সেজন্যই তিনি আসামীদের কাছ থেকে নেয়া ঘুষের টাকার পুরোটাই ফেরত দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কাস্টমারের প্রতি লয়্যাল এই এসআই ঘুষের টাকার ১০০% ক্যাশব্যাক দিতে ঘুরছেন আসামীদের পরিবারের দ্বারে দ্বারে।

এদিকে ঘুষের টাকা লেনদেনকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে তিনি 'ই-ঘুষ' নামে একটি ঘুষভিত্তিক আলাদা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান খোলার পরিকল্পনার কথাও জানান। কাজ না হলে ঘুষের টাকা ফেরত দিতে চাওয়া সৎ পুলিশ কর্মকর্তারা এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেই কাস্টমারকে ক্যাশব্যাক দিতে পারবে।

এই ক্যাশব্যাক সিস্টেমে ঘুষের টাকা 'ই-ঘুষ ওয়ালেটে' রাখা যাবে জানিয়ে তিনি বলেন, 'এই পদ্ধতিতে ঘুষের টাকা ক্যাশব্যাক দেয়া সহজ হবে। তাছাড়া ঘুষ থেকে আয় করা সম্পদের হিসাব নিকাশ নিয়েও ঝামেলা নেই।'

তবে ই-ঘুষ ওয়ালেটে রাখা টাকা শুধু আরও ঊর্ধতন কর্মকর্তাকে ঘুষ দিতেই ব্যবহার করা যাবে বলে জানান তিনি।

মৃত ধরে নেয়া কিশোরীর ফিরে আসা ব্যাপারে বিরক্তি প্রকাশ করে তিনি বলেন, 'জীবিত হওয়ার অপরাধে মেয়েটাকে এরেস্ট করবো ভাবছি। ঘুষ দিলে এরপর ছাড়ব। এভাবে ঘুষের ক্যাশব্যাকের টাকা ঘুষেই উঠে আসবে।'

এদিকে একটি ভূয়া সূত্র থেকে জানা যায়, সততা ও ই-ঘুষের মতো প্রশংসনীয় উদ্যোগের জন্য দুইটা ক্যাটাগরিতে পুলিশ পদক পেতে পারেন নারায়ণগঞ্জের এসআই শামিম আবদুল্লাহ।

৫৬৬ পঠিত ... ১৩:৩৮, আগস্ট ২৭, ২০২০

Top