করোনা নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশে ভ্যাকসিন নাও লাগতে পারে, দেশের এমন ভাবনার পরও বাংলাদেশকে ভ্যাকসিন দিতে চায় চীন-ভারত দুই দেশই। ভ্যাকসিন পাওয়ায় চীন বাংলাদেশকে অগ্রাধিকার দিবে, এমন খবর ছড়িয়ে পড়ার পরই নিজেদের ভ্যাকসিন দেয়ার প্রস্তাব নিয়ে হাজির হয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব।
অন্যদিকে বাংলাদেশকে ভ্যাকসিন দেয়া নিয়ে এমন কোল্ড ওয়্যারে সন্তুষ্ট নয় বাংলাদেশের জনগণ। তারা চায় চীন-ভারত হট যুদ্ধ। এই যুদ্ধে যারা জিতবে তাদের ভ্যাকসিনই বাংলাদেশ গ্রহণ করবে। এই যুদ্ধের নাম ভ্যাকসিন যুদ্ধ হবে বলেও নিজেদের মত দেন কেউ কেউ।
দুইজন প্রেম প্রত্যাশী থেকে বেটারটিকে বেছে নেওয়ার স্ট্রেটেজি মনে করিয়ে দিয়ে যুদ্ধপ্রত্যাশী একজন বলেন, 'দর কষাকষি বা যুক্তি দিয়ে প্রেম নির্ধারণ করা যায় না। ডেডিকেশন দেখতে হয়। যুদ্ধে যার ডেডিকেশন বেশি থাকবে সেই জিতবে। তার কাছ থেকেই আমরা ভ্যাকসিন নিবো। এতে একইসাথে, ডেডেকেটেড, বুদ্ধিমান ও শক্তিশালী শুভাকাঙ্ক্ষী পাওয়া যাবে।'
'ভ্যাকসিন দিয়া কী কাম' চা দোকানে এমনটা উল্লেখ করে এক চাচা বলেন, 'আমগোতো ভ্যাকসিন লাগবো না। তয়, এই উছিলাই দুই দেশের যুদ্ধ লাগায় দিতে পারলে আরাম পামু। সকালে চা খাইতে আসলে যুদ্ধ নিয়া আলাপ করা যাইবো। এই করোনা নিয়া আলাপ আর ভাল্লাগে না।'
এ পর্যায়ে যুদ্ধ হলে কে কার পক্ষে যাবে, চায়ের দোকানের কাস্টমারদের মধ্যে চাচা সে বিষয়ে একটি জরিপ ও আলোচনা সভা পরিচালনা করেন।
যুদ্ধ লাগলে দুই দেশের কাছে কিছু টি-স্টল ওয়্যার স্পেশালিষ্ট বিক্রি করে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখার আশাও ব্যক্ত করেন এই চাচা।
এছাড়াও চীন-ভারত যুদ্ধ লাগলে ফেসবুকের কমেন্টবক্সে যুদ্ধ করার জন্য মুখিয়ে আছেন হাজারও বাঙালি ফেসবুকার। এমনই একজন বললেন, 'যুদ্ধ বাঁধলেই নতুন কিবোর্ড কিনব। অস্ত্র নিয়া সবাইকে রেডি থাকতে হবে।'
এদিকে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, ভ্যাকসিনের কার্টন, কয়েক হাজার অশ্বারোহীসহ বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন।