ডলফিনদের তাড়িয়ে সমুদ্র সৈকত দখল করতে কক্সবাজারে লাখো বাঙালির অভিযান

৪৯৬ পঠিত ... ১৩:১১, আগস্ট ০৯, ২০২০

করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত বন্ধ থাকায় তীর পুনরুদ্ধার করে নিয়েছিলো ডলফিন, কক্সবাজার সৈকত চলে গিয়েছিলো সাগরলতা-গুল্মের দখলে।

তবে নিজেদের জাতীয় পর্যটন কেন্দ্র পুনর্দখলে থেমে নেই বাংলাদেশিরা। সরকারের পক্ষ থেকে জনসাধারণের জন্য সৈকত খুলে দেয়ার পর থেকে বাংলাদেশিরা শুরু করেছে উদ্ধার অভিযান। দলে বলে লাখো বাঙালিকে সৈকতে গিয়ে ডলফিনদের তাড়িয়ে সৈকত দখলে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ মনোভাবে দেখা গেছে।

সৈকত দখলের লক্ষ্যে দলে বলে থ্রি কোয়ার্টার আর চশমা পরে সমুদ্রকে অশান্ত করা একজন সৈনিক eআরকিকে বলেন, 'দেখুন, সমুদ্র মানেই উত্তাল। সেখানে ডলফিনদের মানায় না। ওরা শান্ত, লাফায়ও ধীরে, মেলোডি সুরে। কিন্তু সমুদ্রে লাফাতে হবে আমাদের মতো উত্তালভাবে। সমুদ্র উত্তাল, আমরাও উত্তাল। যাকে বলে একেবারে ম্যাচম্যাচিং।'

কথা শেষ করেই তিনি একলাফে ৪ ফিট উপরে উঠে সমুদ্রে লাফিয়ে পড়তে চাইলেও শরীরের অতিরিক্ত ওজনের কারণে ৬ ইঞ্চির বেশি উঠতে পারেননি।

তাছাড়া ডলফিনরা সৈকতকে নষ্ট ও নোংরা করতে পারেনা বলে তাদের সৈকতে থাকার অধিকার নেই বলেও মত দেন অনেকে। একজন বলেন, 'ডলফিনরা সৈকতে আসার পর থেকে সৈকত নিজের স্বাভাবিক রূপ হারাইয়া ফেলছে। ছিলো একদম ঝকঝকা। সৈকতে চিপসের প্যাকেট নাই, প্লাস্টিকের বোতল নাই! এইটা কেমন কক্সবাজার! কক্সবাজারের এমন ছবি দেইখাইতো মেজাজ গরম হইয়া গেছে। হেরলাইগাই কক্সবাজারের স্বাভাবিক রূপ ফিরাইয়া দিতে অভিযানে চলে এসেছি। খেলা হবে!'

এই বলে তিনি হাতে থাকা একটি প্লাস্টিকের বোতল সমুদ্রে ছুড়ে দিয়ে নিজেও গিয়ে ওই বোতলের উপর ঝাপিয়ে পড়েন।

সৈকতে সাগর লতার বেদখলের বিষয়ে একজন বলেন, 'সৈকতে আসলে ছবি তুলবো বালিতে শুয়ে। শইল্লে বালু লাগিয়ে। লতাফতার লহে কিয়ের ছবি। ফালান এইগুলারে।'

স্পিডবোড নিয়ে মাঝসমুদ্রের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়া একজন বলেন, যাই, মাঝসমুদ্রে মহড়া দিয়ে আসি। ডলফিনগুলা ওইখানে ঘাঁটি করতে পারে।

এদিকে কিছু মানুষ ডলফিন ধরে রান্না করে খাওয়ার আশায় সৈকতে গেলেও মানুষের ভিড়ে ডলফিন খুঁজে না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে আসেন, এমনটাও জানা যায়।

তবে কিছু কিছু জায়গায় ডলফিনরা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে বলেও খবর পাওয়া গেছে। লাইফ টায়ার (?) নিয়ে তীরে থেকে দূরে যাওয়া কয়েকজনের টায়ার ডলফিনরা ছিদ্র করে দিয়েছে।

৪৯৬ পঠিত ... ১৩:১১, আগস্ট ০৯, ২০২০

Top