অনলাইন থেকে বোরখা কিনে ধরা খেলাম: একান্ত রিমান্ডে সাহেদ করিম

৭৮৪ পঠিত ... ১৮:২৫, জুলাই ১৬, ২০২০

অনেকেই অনলাইন থেকে অনেক কিছু কিনে ধরা খান। কিন্তু সাহেদ করিমের মতো লাইফ রিস্ক ধরা এখনো কেউ খান নাই। বিশ্ববাটপার সাহেদ করিম বোরখা পরে পালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন ভারত। কিন্তু পথমধ্যেই ধরা খেয়ে এখন আছেন র‍্যাব হেফাজতে।

তিনি র‍্যাব হেফাজতে থাকলেও তার একটি ফেইক আইডি ধরা খাওয়া বিষয়ে eআরকিকে দেয়া একান্ত এক সাক্ষাৎকারে বলেন, 'অনলাইন থেকে বোরখা কিনেই ধরাটা খাইলাম।'

অনলাইন শপগুলাও রিজেন্টের মতো জালিয়াতি শুরু করছে, এমনটা দাবি করে সাহেদ বলেন, 'ভাইরে ভাই, অর্ডার দিছি পিপিই, হালারা পাঠাইছে বোরখা! তাও বোরখার লগে মুখোশ, হিজাব কিছুই দেয় নাই। অর্ডার দিছিলাম ফোরএক্সএল, দিছে মিডিয়াম। ঠিকঠাক শরীর ঢাকে না। বাটপারিতো আমরাও করি ভাই! করোনার টেস্টে তাই বলে এইডসের রেজাল্টতো দেই না! তোরা নকল পিপিই দে! তাও মানা যাইতো!'

বিড়ম্বনার এখানেই শেষ নয়। জালিয়াতিতে সাহেদ, সাবরিনা, শামিম সবাইকে নাকি ছেড়ে গিয়েছে এইসব অনলাইন শপ। জালিয়াতিতেও সততা থাকা উচিত, এমন মত প্রকাশ করে সাহেদ বলেন, 'বোরখা যখন আসলো, টাইট। আমার ভুড়ি স্পষ্ট দেহা যায়। আমার ভূড়ি দেইখাইতো আমারে চিন্না ফেললো মানুষ। দেখেন না পত্রিকায় এইজন্য নিউজও ছাপাইছে আমি মোটা বলে ধরা পড়ছি? এর মধ্যে মুখোশ নাক পর্যন্ত আইসা শেষ। লাগান যায় না। পিন পুন কিচ্ছু নাই। হিজাব একটা দিছে জলপট্টির মতো।'

অনলাইন শপ এফভ্যালিকে একটা এফ ওয়ার্ডের গালি দিয়ে সাহেদ বলেন, 'জালিয়াতি ফাঁস হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হওয়ার আগেই অর্ডার করছিলাম। তাও ধরেন ১ মাস আগে। আর ভেজাল ভুজাল শেষ কইরা মাল পাইলাম গতকাল সন্ধ্যায়। এজন্যই ভারতের উদ্দেশ্যে বের হইতে দেরি হইছে। হালাগোর দেরির লাইগাই ধরাটা খাইলাম।'

তবে সবশেষে নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে একটি আফসোসও প্রকাশ করেন তিনি, 'আগে জানলে এইসব হাসপাতাল হাবিজাবি ছাইড়া অনলাইনের ব্যবসা করতাম! এইখানেই বাটপারিতে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ বেটার।'

৭৮৪ পঠিত ... ১৮:২৫, জুলাই ১৬, ২০২০

Top