কলকাতায় কার্ল মার্ক্স পড়া ছাড়া ব্যাংকে ঢোকা যাচ্ছে না

১২৯৪ পঠিত ... ১৪:১৬, জুলাই ১৬, ২০২০

সারাবিশ্বে নিজেদের আদর্শ প্রতিষ্ঠায় আরো একধাপ এগিয়ে গেলো সমাজতন্ত্র। এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের আওতায় কার্ল মার্ক্স পড়া ব্যতিত ব্যাংকে ঢোকার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে কলকাতার একটি ব্যাংক। টুইটারে ছড়িয়ে পড়া '(কার্ল) মার্ক্স না পড়ে ব্যাংকে প্রবেশ করবেন না' লেখা নিষেধাজ্ঞাপত্রটি টুইটার, ফেসবুক ছাড়িয়ে পৌঁছে যায় পরজগতে...

ভদকার পেয়ালায় চুমুক দিয়ে, ঠোঁটে একটি চুরুট নিয়ে নোটিশটি পড়ে কলকাতার ওই ব্যাংকের উদ্দেশ্যে একটি 'লাল সালাম' প্রদর্শন করেন কার্ল মার্ক্স। এরপরই তিনি বলেন, 'সমাজতন্ত্রের পথ চলার পর থেকে এইটাই আমাদের চুড়ান্ত বিজয়। একটি পুঁজিবাদি প্রতিষ্ঠান এভাবে সমাজতন্ত্রকে ধারণ করে দেখে গর্বে বুকটা সমানভাগ হয়ে যেতে চাচ্ছে। ইহকাল, পরকাল মিলিয়েও নিজেকে এতটা গুরুত্বপূর্ণ, সম্মানীয় মনে হয়নি।' এ সময়ে তিনি গলা ফাঁটিয়ে সমকম্পনে দুইবার 'বিল্পব দীর্ঘজীবী হোক' স্লোগান দেন।

করোনাভাইরাস প্যান্ডেমিকের সময়ে সমাজতন্ত্রের এমন বিজয় হয়েছে বলে করোনাভাইরাসকে একটি সমাজতান্ত্রিক ভাইরাস উপাধি দেয়ার আশা ব্যক্ত করেন মার্ক্সের পাশে বসা ফিদেল ক্যাস্ট্রো।

এমন ঐতিহাসিক সময়ে ভারতীয় উপমহাদেশের পোস্টমডার্ন যুগের সমাজতন্ত্রের জনক হাসানুল হক ইনুকেও স্মরণ করেন চে গেভারা। তিনি বলেন, 'হজ্জ্ব করে, ক্যাসিনো ব্যবসা করে ইনু সমাজতন্ত্রকে নতুন এক মাত্রা দিয়েছে। তার ধারাবাহিকতাতেই আমরা ব্যাংক দখল করে নিতে পেরেছি। কলকাতার পাশাপাশি ঢাকায়ও এমন সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব দেখতে চাই।'

এ বিষয়ে কথা বলতে গুগল থেকে কার্ল মার্ক্সের বেশ কিছু উক্তি মুখস্ত করে, গায়ে চে-গেভারার টি-শার্ট পরে, 'কমিউনিস্ট ম্যানোফেস্ট' বই বুকে নিয়ে আমরা কলকাতার ওই ব্যাংকে যাই। কিন্তু আমাদের অবাক করে দিয়ে মুখে সার্জিক্যাল মাস্ক না থাকায় তারা আমাদের ব্যাংকে ঢুকতে দেননি।

eআরকিক: আসিফ বায়েজিদ

তবে নোটিশটি দেখে বিপুল উৎসাহে কার্ল মার্ক্সের বই পড়তে শুরু করেছেন ব্যাংকে কাজকর্ম আছে এমন কিছু মানুষ। ব্যাংকের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা একজন চিন্তিত গলায় বলেন, 'কার্ল মার্ক্সের তিনটা বই পড়া শেষ। তবু দেখি ব্যাংকে ঢুকতে দিচ্ছে না!'

এদিকে কলকাতার ওই ব্যাংকের এমন সিদ্ধান্তে প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশের কিছু সমাজতান্ত্রিক দল। তারা বলেন, 'শুধু কার্ল মার্ক্স পড়ে ব্যাংকে ঢোকা যাবে! লেনিন পড়া লাগবে না! এইটা কেমন সমাজতন্ত্র হইলো! আমরা এই সিদ্ধান্ত মানিনা। লেনিন পড়া বাধ্যতামূলক না করায় আমরা ওই ব্যাংককে বর্জন করলাম।'

১২৯৪ পঠিত ... ১৪:১৬, জুলাই ১৬, ২০২০

Top