ডাল চাষে অভাবনীয় সাফল্যের পর এবার জুম চাষে বাংলাদেশের বিশ্বরেকর্ড

১১৬১ পঠিত ... ১৬:৪৭, জুলাই ১২, ২০২০

সম্প্রতি ইতালিয়ান একটা পত্রিকায় বাংলাদেশের ডাল চাষের সাফল্য নিয়ে একটা খবর ছাপা হলে সারা বিশ্বে বেশ প্রশংসিত হয় বাংলাদেশ। সেই সাফল্যকে পেছনে ফেলে আন্তর্জাতিক ফসল জুম অ্যাপ চাষে এক সিজনে প্রায় দেড় কোটি টাকা আয় করে নতুন বিশ্বরেকর্ড করেছে বাংলাদেশ। eআরকির প্রতিবেদক জাহিদুর রহমানের পাঠানো তথ্য থেকে আমরা এমনটাই জানতে পারি।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বাস্তবায়ন পরীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ সম্প্রতি জুম অ্যাপে মিটিং বাবদ ১ কোটি ৩৮ লক্ষ টাকা খরচ করেছে। এই প্রতিষ্ঠানটি মূলত সরকারি কেনাকাটা ও দাপ্তরিক নানাবিধ কাজে অতিরিক্ত খরচ না হওয়ার বিষয়টি দেখে থাকে। করোনাকালীন পরিস্থিতিতে এই কাজটি করতে গিয়েই শুধু জুম মিটিং বাবদ তারা এই টাকাটি খরচ করে।

ইংরেজি দৈনিক দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, জুম অ্যাপের মাধ্যমে বাসায় বসে অনলাইন মিটিং করলেও খাতা, কলম ও অন্যান্য স্টেশনারি আইটেম বাবদ প্রতিষ্ঠানটির ৭৫ জন প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা জনপ্রতি ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা করে খরচ করেছেন। খাওয়া দাওয়া বাবদ খরচ করেছে ৪ লক্ষ ৩২ হাজার টাকা। জুম অ্যাপ ডাউনলোড, লিংক ক্রিয়েট করে মিটিং অ্যারেঞ্জ করে দেয়ার জন্য একটি প্রতিষ্ঠানকে দেয়া হয়েছে ১৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা। খাওয়া ও মিটিং করা বাবদ যেখানে সর্বমোট খরচ আসে ৫৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা।

সারাবিশ্বে ফ্রি সেবা প্রদান করে জুম অ্যাপ। আর এই ফ্রি অ্যাপের মাধ্যমেই কিনা বাংলাদেশ সরকারের একটি প্রতিষ্ঠান কোটি টাকার লেনদেন করে ফেলেছে! এই রেয়ার বিষয়টিই নজর কেড়েছে বিশ্ববাসীর। বাংলাদেশকে 'ল্যান্ড অব জুম' উপাধিও দিচ্ছে অনেকে।

বাংলাদেশ সরকারের বাস্তবায়ন পরীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের অফিসে কাজ করছেন জুমকর্মীরা

জুম অ্যাপের মাধ্যমে এই বিশাল অংকের আয়কে নতুন কৃষি বিপ্লব বলে আখ্যায়িত করে কার্ল মাক্স বলেন, 'সারাবিশ্ব যেখানে প্রযুক্তিতে এগিয়ে গিয়ে কৃষিকে দূরে ঠেলে দিচ্ছে তখনই বাংলাদেশ সরকারের এই ৭৫ জন কর্মকর্তা সেই প্রযুক্তির ভেতর থেকেই কৃষিতে আনছেন কাড়ি কাড়ি টাকা। এর আগে পৃথিবীর কোন দেশ জুম অ্যাপ চাষ করে এভাবে সরকারের টাকা খসানোর সৃজনশীলতা দেখাতে পারেনি। বাংলাদেশ আসলেই একটি কৃষি প্রধান দেশ। এরা ইন্টারনেটের মতো পুষ্টিহীন জায়গা থেকে টাকা বের করে নিয়ে আসতে পারে। এটাকেই বলে সিস্টেমের ভেতর ঢুকে সিস্টেমকে খেয়ে দেয়া।'

বিনা পুঁজির জুম অ্যাপ চাষের মাধ্যমে বিশাল অংকের টাকা আয়ের এই খবরে বেশ আনন্দিত হয়েছে শাইখ সিরাজও। ইন্টারনেট কৃষি মাধ্যমে নতুন এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই ৭৫ জন কর্মকর্তার অভিজ্ঞতা জানতে চাইবেন তিনিও। 'জুম ও মানুষ' নামের এই প্রোগ্রামে তাদের অভিজ্ঞতা ছড়িয়ে দেবেন সবার মাঝে। বেসরকারি অফিসের কর্মকর্তারাও যেন জুম অ্যাপের মিটিং এর মাধ্যমে এমন মোটা অংকের টাকা আয় করতে পারেন, এটাই অনুষ্ঠানটির মূল্য লক্ষ্য।

এদিকে শুধু জুম অ্যাপ ইন্সটল করেই বাংলাদেশ এত টাকা আয় করা যায়, এমন খবরে জুম অ্যাপের মালিক ইরিক ইয়ুয়ান কম্পানির চেয়ারম্যানের পদ ছেড়ে দিয়ে বাংলাদেশে জুম অ্যাপ ইন্সটলের কাজ করতে আসছেন বলেও খবর পাওয়া গেছে।

১১৬১ পঠিত ... ১৬:৪৭, জুলাই ১২, ২০২০

Top