বাংলাদেশে ছবি তোলা সংক্রান্ত বিড়ম্বনায় শুধু ক্রিকেটাররা পড়েন না, পড়েন রাজনীতিবিদ ও আমলারাও। তফাৎ হলো, ক্রিকেটাররা বিড়ম্বনায় পড়েন ছবি তোলার সময়, রাজনীতিবিদ ও আমলারা পড়েন কোন দুর্নীতিবাজ ধরা খাওয়ার পর। কোন এক পরাবাস্তব জাদু বলে কোন দূর্নীতিবাজ ধরা পড়লেই তার সাথে বাংলাদেশের আমলা ও রাজনীতিবিদদের কাঁধে কাঁধ রাখা, হাতে হাত রাখা হাসোজ্জ্বল মুখের অসংখ্য ছবি পাওয়া যায়। সরল বিশ্বাসে তোলা এইসব ছবির কারণে নানান ঝামেলায় পড়তে হয় তাদের। এমন বিড়ম্বনা থেকে নেতৃবৃন্দকে মুক্তি দিতে তাই ক্যামেরায় আসছে এক বিশেষ প্রযুক্তি। সরল বিশ্বাসে কোন দুর্নীতিবাজের সাথে ছবি তুলতে গেলেই জানান দেবে ক্যামেরা, বলে দেবে তার দুর্নীতির পরিমাণ।
ক্যামেরার সাথে সরাসরি যুক্ত থাকা এই অ্যাপে দেশের সব দুর্নীতিবাজদের ডাটা আগে থেকেই এন্ট্রি করা থাকবে। হাই রেজুলেশন ফেস ডিটেকশন ফিচারের মাধ্যমে কারো সাথে ছবি তুলতে গেলেই ক্যামেরা বিপ বিপ করে সিগন্যাল দিবে। ছোটখাটো দুর্নীতিবাজের ক্ষেত্রে একটা সিগন্যাল, মাঝারি দুর্নীতিবাজের ক্ষেত্রে ফোন কেঁপে উঠবে ও বড় আকারের দুর্নীতিবাজের ক্ষেত্রে ক্যামেরাই বন্ধ হয়ে যাবে।
স্বাভাবিকভাবেই ধারণা করা হচ্ছে, এমন অ্যাপ আসলে দেশের দূর্নীতি বেশ কমে যাবে। বিশিষ্টজনদের সরলতার সুযোগে তাদের সাথে ছবি তুলে কেউ আর দুর্নীতি করতে পারবে না। তবে দুর্নীতিবাজ অ্যালার্ট অ্যাপের নির্মাতাদের হতাশ করে এক পটেনশিয়াল দুর্নীতিবাজ রহস্যময় হাসি হেসে বলেন, 'আপনাদের ধারণা ছবি তোলার সময় বিশিষ্টজনরা জানে না কে দুর্নীতিবাজ?'
এমন অ্যাপ আসার খবরে রাজনীতিবিদ, এমপি, মন্ত্রী, আমলাসহ বিশিষ্টজনসমাজেও খুব একটা উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যায়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এমনই একজন বলেন, 'এই অ্যাপে তো কাম হইবো নারে ভাই। দুর্নীতি যারা করে না, তাদের তো আর ক্ষমতাবানদের সাথে ছবি তোলার দরকারই হয় না। কোন দুর্নীতিবাজ ধরা খেলে তার সাথে থাকা আমাদের সকল ছবি অটো ডিলেট হয়ে যাবে- পারলে এমন একটা কাজের অ্যাপ আনার ব্যবস্থা করেন।'
এমন অ্যাপ আনলে সব মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের জন্য সরকারিভাবে মোটা দামে এই অ্যাপ কিনবেন বলেও জানান এই বিশিষ্টজন।