রূপপুরের বালিশে এখন কারা ঘুমায়, কেমন ঘুম হয়? eআরকির বিশেষ ফলোআপ

৫৬৯ পঠিত ... ১৯:৫২, জুলাই ০৯, ২০২০

রূপপুরের সেই পারমানবিক বালিশের কথা আপনারা নিশ্চয়ই ভুলে যাননি। ৬০০০ টাকার যে বালিশ তাকে কীভাবে ভোলা যায়! দামী স্ট্যাটাসের আত্মীয় স্বজনকে তো আমরা কিছুদিন পর পরই মনে করি। বালিশদের মধ্যে অভিজাত এই বালিশকেও মনে করা উচিত, তাদের একটু খোঁজ খবর রাখা উচিত। eআরকির এক বিশেষ ফলোয়াপের অংশ হিসেবে লকডাউনের মধ্যেও আমরা একটি ভার্চুয়াল ট্যুরে রূপপুর গিয়েছি। জানতে চেষ্টা করেছি, বালিশগুলোতে এখন কারা ঘুমায়? কেমন ঘুম হয়? শুধু কি রাতেই ঘুমায় নাকি দিনেও?

 

বালিশগুলোকে প্রথমেই একটু প্রাণভরে দেখে নেই আমরা। সাদা কভারের উপর কিছুটা কালশিটে পড়া। তাও কী অপরূপ লাগছে। দামী জিনিসের এই একটা সুবিধা, ময়লা লেগে থাকলেও দেখতে সুন্দর লাগে। এভাবে কালশিটে কীভাবে পড়লো? জানতে চাইলে সদ্য নিয়োগ পাওয়া এক কর্মকর্তা বলেন, 'এই বালিশে আমি ঘুমাই। জয়েন করার আগে জানতে পেরেছি ফেলকন নাইন স্পেসশিপ দিয়ে এই বালিশ উঠিয়েছে। খরচ হয়েছে প্রায় ১০০০ টাকা। ভয়ে আর বালিশ উঠাই না। এত ভারি জিনিস, যদি কোমর ভেঙ্গে যায়! তাছাড়া উঠাতে যদি আবারো ১০০০ টাকা লাগে! ভয় হয়।

এই বালিশে ঘুমিয়েছে, এমন কিছু কর্মকর্তার সাথে আমাদের কথা হয়। বালিশে শুয়ে শুয়েই কথা বলেন তারা। কথা বলতে বলতেই আবার ঘুমিয়ে পড়েন। এভাবে কয়েক দফায় একজন বলেন, 'এই বালিশ ভাই স্বপ্নের বালিশ। ঘুমাইলেই স্বপ্ন আর স্বপ্ন। আমরাতো রাতেও ঘুমাই, দিনেও ঘুমাই। বালিশে ঘুমিয়ে ঘুমিয়েই কাজ করি। স্বপ্নের কাজ যাকে বলে। এজন্যই তো এই বালিশগুলো এত টাকা দিয়ে কিনেছে।'

এপিজে আবুল কালামের কথা মনে করিয়ে দিয়ে অন্য একজন বলেন, আজ যদি এপিজে বেঁচে থাকতেন তাহলে বলতেন, 'যা মানুষ ঘুমিয়ে দেখে তা স্বপ্ন না, সেটাই স্বপ্ন যেটা মানুষ রূপপুরের বালিশে ঘুমিয়ে দেখে।'

একা থাকেন, এমন এক কর্মকর্তার বালিশে কিছু ছারপোকা পাওয়া গেলে আমরা বেশ অবাক হই। এত দামী বালিশে ছারপোকা! তবে ভুল ভাঙ্গিয়ে এই কর্মকর্তা হাসতে হাসতে বলেন, 'এইগুলা তো ওই বালিশ না। বালিশের দাম শুনে ওইগুলা বাসায় নিয়া গেছি। ওগুলাতে আমার বউ-বাচ্চা ঘুমায়। বাচ্চাটা রাতে বিছানা নষ্ট করে তো, দামী বালিশে ঘুমালে যদি একটু কমে। আলহামদুলিল্লাহ, ভালো ফল পেয়েছি। আগে সপ্তাহে ৪ দিন বিছানা নষ্ট করতো, এখন ৩ দিন করে। নিজের জন্য ছারপোকাওয়ালা এই বালিশগুলা ১৫০ টাকা করে কিনছি।'

বালিশ কান্ডে গ্রেফতার হওয়া, বদলি হওয়া কর্মকর্তাদের দুঃখগাঁথা শোনার আগ্রহও হয় আমাদের। এত দামি বালিশ কিনেও ঘুমাতে না পারায় কেমন আছেন তারা? জানতে চাইলে আমাদেরকে রীতিমত হতাশ করে দিয়ে একজন বলেন, 'আসলে পারমাণবিক কেন্দ্রের বালিশ তো, হেই ১৫০ টাকা দামের গুলাই। ৬০০০ টাকা দামেরগুলা বাসার জন্য কিনছিলাম। ছুটিতে বাড়িতে গেলে তো ওগুলাতেই শুই। গ্রেফতার হওয়া ভাই-বেরাদররা জামিন পাইলে ওরাও শুইবো।

তবে এই দামি বালিশকে কাজে লাগাচ্ছেন রূপপুর পারমানবিক কেন্দ্রের অববাহিত কর্মকর্তারা। প্রেম ও বিয়ের আশায় তারা মেয়েদের উদ্দেশে গেয়ে উঠেন-
যদি আমায় বিয়ে করো, ডে কিংবা নাইট
রূপপুরের বালিশ দিয়ে, খেলবো পিলো ফাইট!

৫৬৯ পঠিত ... ১৯:৫২, জুলাই ০৯, ২০২০

Top