অপমান সহ্য করতে না পেরে জাতীয় ফলের পদ থেকে পদত্যাগ করতে চান কাঁঠাল

৯৮৩ পঠিত ... ১৬:৫৬, জুলাই ০৮, ২০২০

দেশের বেশিরভাগ পদ দখল করে থাকা মানুষের মান-অপমানবোধ না থাকলেও, দেশের জাতীয় ফল কাঁঠালের আছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় উপর্যুপরি ট্রল ও জাতীয় ফল হওয়ায় ব্যঙ্গ-রসিকতা সহ্য করতে না পেরে নিজের আঁঠানুভূতিতে আঘাত পান এই ফলটি। আবেগপ্রবণ হয়ে তাই জাতীয় ফলের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

সম্প্রতি রাজধানীর কাঁঠালবাগানে করা এক বিশেষ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কাঁঠাল অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে এমনটা জানানো হয়। উক্ত সভায় আবেগতাড়িত হয়ে জনৈক কাঁঠাল বলেন, 'দীর্ঘদিন যাবৎ জাতীয় ফলের পদে ছিলাম। এই জাতি কাঁচা অবস্থায় আমাকে তরকারি হিসেবে খেয়েছে, পাকা অবস্থায় আমার কোয়া খেয়েছে, এমনকি বিচিসুদ্ধ খেয়েছে। উচ্ছিষ্ট অংশ গরু-ছাগলকেও খাইয়েছে। তবু আজ আমি ব্যর্থ। এর দায় নিয়ে আমি জাতীয় ফলের পদ থেকে সরে দাঁড়ালাম।'

পদত্যাগের পেছনে নিজের আঁঠাস্বল্পতাকে কারণ হিসেবেও চিহ্নিত করে কাঁঠাল বলে, 'আমার আঁঠা সব দেশের মন্ত্রীরা নিয়ে নিয়েছে। পর্যাপ্ত আঁঠা না থাকার কারণে পদ দখল করে বসে থাকতে পারলাম না। তাছাড়া উনাদের মতো অতো ধৈর্যও আমার নাই।'

অন্যান্য ফলের তুলনায় প্রাপ্য সম্মান কাঁঠালকে দেয়া হচ্ছে না এমন অভিযোগ তুলে কাঁঠাল বলেন, 'বাঙ্গি জিনিসটারও মা-বাবা পর্যায়ে একটা কদর আছে। আমাদের তাও নেই। কাঁঠাল জাতীয় ফল হলেও সবাই আম-কাঁঠাল বলে, কেউ কাঁঠাল-আম বলে না। এ কারণে আমাদের অনেক কাঁঠালই আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে ভুগে আম হয়ে যেতে চাচ্ছে।' এ পর্যায়ে আম শেপের একটি কাঁঠালও আমাদের দেখান এই বিজ্ঞ কাঁঠাল।

কাঁঠালের এমন পদত্যাগে দুঃখ প্রকাশ করেছে বাঙ্গি। নিজের ফেসবুক পেজ থেকে কাঁঠালের সাথে কোলাকুলিরত অবস্থায় বাঙ্গি ফেসবুকে লেখেন, 'কাঁঠালের দুঃখ আমি বুঝি। কাঁঠালের মতো সব্যসাচী একটি ফলকে এই জাতি ডিজার্ভ করে না।' পদত্যাগ করে মুখের উপর উচিত জবাব দেয়ার জন্য কাঁঠালের প্রশংসা করে বাঙ্গি আরও লেখেন, 'এই দেশে জাতীয় ফলের পদে থাকতে হলে মান অপমানবোধ থাকা যাবে না। এক্ষেত্রে আমাকে বা কোন মন্ত্রীকে জাতীয় ফলের পদ দেয়া যেতে পারে।'

৯৮৩ পঠিত ... ১৬:৫৬, জুলাই ০৮, ২০২০

Top