'স্যার, জ্যাম ছিলো' অজুহাত দেয়ায় অনলাইন ক্লাস থেকে আজীবন বহিষ্কৃত চট্টগ্রামের চয়ন

৬৫৬ পঠিত ... ১৯:৪৯, জুন ৩০, ২০২০

করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটি। পড়ালেখাকে আর কাহাতকই বা ছুটি জানানো যায়, তাই শুরু হয়েছে অনলাইন ক্লাস। এদিকে মানুষ তো তার অভ্যাস এত দ্রুত বদলাতে পারে না। চট্টগ্রামের চয়ম যেমন বদলাতে পারেননি অজুহাত। প্রথম দিনই অনলাইনে ক্লাসে দেরিতে হাজির হয়েছিলেন তিনি। কানেক্ট হতেই অভ্যাসবশত 'স্যার, রাস্তায় কুত্তামারা জ্যাম ছিল' বলে ফেঁসে গেছেন। এরপরই আজীবনের জন্য অনলাইন ক্লাস থেকে চয়নকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বিস্তারিত জানার জন্য চয়নকে ম্যাসেঞ্জারে নক দেই আমরা। বিকাল পাঁচটায় সময় দিয়ে তিনি আসেন সন্ধ্যা সাতটায়। 'জ্যামে ছিলেন?' জিজ্ঞেস করলে হাসতে হাসতে তিনি বলেন, 'আর মজা নিয়েন না ভাই। এমনিতেই কট খাইছি। অভ্যাস বড় ভয়ংকর জিনিস ভাই।' 

বর্তমান থেকে তিনি একটু অতীতে ফিরে যান। (কিংবা এটাই অতীত। কিংবা এটাই ভবিষ্যৎ। চয়ন ভবিষ্যৎ থেকে টাইম মেশিনে চড়ে বর্তমানে এসেছে। আচ্ছে ইয়ে সরি, ডার্ক সিরিজ দেখার পর প্রতিবেদকের মাথা আউলাই গেছে!) চয়ন বলেন, 'ক্লাসে লেট করার জন্য কত গল্প বানাইলাম। কোনোটাই স্যাররা খায় নাই। কিন্তু জ্যামের কথা বললেই কাজ হইতো। হলে থাকতাম। আটটার ক্লাসের জন্য ঘুম থেকে আটটা পাঁচে উঠে দিতাম দৌড়। স্যারকে বলতাম, স্যার আমি সূদুর মিরপুর থেকে আসছি। রাস্তায় কুত্তামারা জ্যাম ছিল। স্যার সসম্মানে ক্লাসে ঢুকতে দিত।' 

ঢাকার জ্যামকে বড্ড মিস করি, এমনটা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এভাবে প্রেমিকাদের মতো অভ্যাস বানায়ে দিয়ে এরপর বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া জ্যামের একেবারেই ঠিক হয় নাই। জ্যাম হইলো আমাদের ঐতিহ্য। যতই লকডাউন হাবিজাবি থাকুক, রাস্তায় খালি গাড়ি-ঘোড়া বসিয়েও জ্যামের ব্যবস্থা করা উচিত।'

আজীবন তো বহিষ্কার হলেন, এখন কী করবেন? চয়নকে এই প্রশ্নের উত্তরে আশাবাদীই মনে হলো, ‘রেজিস্টার অফিসে এপ্লিকেশন দেবো ভাবছি। তাছাড়া স্যারকে ফোনও দিছিলাম, বলছি- আমি বুঝাইতে চাইছিলাম ইন্টারনেটের লাইনে জ্যাম ছিল…’

৬৫৬ পঠিত ... ১৯:৪৯, জুন ৩০, ২০২০

Top