পিপলস চয়েজ মিউজিক অ্যাওয়ার্ড 2K20 জিতে নিলো মশা

৩৩১ পঠিত ... ০৪:০৯, জুন ২২, ২০২০

২০২০ সালের বিশ্ব সঙ্গীত দিবসে আয়োজিত করা পিপলস চয়েজ মিউজিক অ্যাওয়ার্ড 2K20 জিতে নিলো মশা। আজ সকালে 'জীবনের বিনিময়ে গান' স্লোগানে অনুষ্ঠিত হওয়া অনুষ্ঠানে জীবনের ঝুঁকি নিয়েও গান গেয়ে যাওয়ার সম্মান স্বরূপ মশাকে এই পুরষ্কার প্রদান করা হয়। যদিও মশা মারার ব্যাট নিয়ে অপেক্ষারত আয়োজক কমিটির কথা ফাঁস হয়ে যাওয়ায় পুরস্কার নেয়ার জন্য কোন মশাকেই অনুষ্ঠানস্থলে দেখা যায়নি।

আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, গানের জন্য জীবনদানের খবর কেবল রূপকথাতে শুনেছি আমরা। নাটক সিনেমায় বড়জোর গানের মঞ্চে গলা দিয়ে রক্ত বের হয়ে মরে যেতে দেখেছি। কিন্তু মশার মতো সারা শরীর বেয়ে রক্ত ছড়িয়ে গান গাইতে কাউকে কখনো দেখিনি।

মশার সঙ্গীত প্রতিভাকে তানসেনের সঙ্গে তুলনা করে আয়োজক কমিটি থেকে আরও বলা হয়, তানসেন সঙ্গীত বৃষ্টি ঝরাতো, আর মশার সঙ্গীত ঝরায় রক্ত।

এ পর্যায়ে কমিটির একজন সিনিয়র সদস্য একটি পরিসংখ্যানও তুলে ধরেন, 'পৃথিবীতে রাতের বেলায় ঘুম পাড়ানি গান শুনে যত শিশু ঘুমায়, মশার গান শুনে তার চেয়ে বেশি শিশু ঘুমিয়ে থাকে। এমন অবদানের জন্য আসলে এই অ্যাওয়ার্ড খুবই সামান্য।'

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকা এমটিএন বাংলা চ্যানেলের বিশিষ্ট ব্যক্তি ওস্তাদ মশাফুজুর রহমান মশার সঙ্গীতকর্মের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, 'মশাদের কাছ থেকে আমি গান করার অনুপ্রেরণা পাই। একটু খেয়াল করলে আমার বেশ কিছু গানে মশক সঙ্গীতের ছায়া দেখতে পাবেন। এমন দাবির প্রমাণ স্বরূপ মাহফুজুর রহমান নিজের বিখ্যাত গান 'ঘুমাতে পারি না সারারাত ধরে, বুকের ভেতরটা হাহাকার করে' গানটি মশাদের জন্য উৎসর্গ করেন।

মশাদের এমন সাফল্যে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অস্ট্রিয়া প্রবাসী বাংলাদেশি সেফাতুল্লাহ। তিনি বলেন, 'আমি যেই ঘুম ভাঙ্গানিয়া পাখির কথা বলি, মশাই মূলত সেই পাখি।' তবে মশাদেরকে এত ভালো গান গাওয়ার জন্য মশা মারার ব্যাট দিয়ে ট্রস ট্রস করে মারা উচিত, এমন মতামতও জানান তিনি।

মশার সঙ্গীত প্রতিভার অপচয় হচ্ছে দাবি করে এক ব্যাচেলর বলেন, 'অ্যালার্ম টোন হিসেবে মশার গান আরও সফলতা পেতে পারতো। কিন্তু মাঝরাতে গান গাওয়ার অভ্যাসের কারণে মশাদের এই পটেনশিয়ালিটি নষ্ট হচ্ছে।' এ ব্যাপারে তিনি এডিস মশাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

এ বিষয়ে গোপনে মশারির ভেতরে অবস্থান নেয়া এক মশার মতামত জানতে চাইলে মশা জানায়, 'বাঙালি অ্যাওয়ার্ড পাইলে নেতায়া যায়। তাই এরা ভাবছিলো আমাদেরকে অ্যাওয়ার্ড দিয়ে সঙ্গীতচর্চা কমায়ে দিবে। কিন্তু আমরা থামছি না। বলতে পারেন, আমরা অনেকটা মাহফুজ, সরি, মশাফুজ স্যারের মতো, এটেনশন দিলে আমাদের গান আরও বাড়ে।'

এই বলেই মশা আবারো মনের সুখে পোঁ পোঁ করে দলীয় সঙ্গীতচর্চা শুরু করলে আমাদের প্রতিবেদক আত্মরক্ষার জন্য ব্যাট হাতে ঠাসঠুস শুরু করে দেন।

৩৩১ পঠিত ... ০৪:০৯, জুন ২২, ২০২০

Top